আসানসোলের হোটেল থেকে বিরল প্রজাতির তক্ষক সহ গ্রেফতার ৫

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল পুলিশ লাইনের উল্টোদিকে বার্ণপুর রোডের একটি হোটেলে হানা দিয়ে শনিবার দুপুরে বিরল প্রজাতির একটি তক্ষক উদ্ধার করলো আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। একইসঙ্গে এই তক্ষক ধরা ও তা পাচার করার অভিযোগ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম হলো মহেশ ঘাষি, সুজিত সিনহা, মহঃ সালাউদ্দিন, মুস্তাকিম মন্ডল ও সফিকুল লস্কর। তাদের মধ্যে মহেশ ও সুজিত আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের বাসিন্দা ও বাকি তিনজন উত্তর ২৪ পরগণার বাসিন্দা।

শনিবার সন্ধ্যায় আসানসোল দক্ষিণ থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিরল প্রজাতির তক্ষক উদ্ধার ও ৫ জনকে গ্রেফতার করার বিষয়টি জানান আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল -১) বিশ্বজিৎ নস্কর। তিনি বলেন, এদিন দুপুরে আসানসোল দক্ষিণ থানার পিপি ইনচার্জের কাছে গোপন সূত্রে খবর আস যে পুলিশ লাইনের উল্টোদিকে একটি হোটেলে জনাকয়েক যুবক এসেছে। পুলিশ জানতে পারে যে, ঐ যুবকেরা বেআইনি ও নিষিদ্ধ কোনকিছু বিক্রির জন্য হোটেলে উঠেছে। এরপর আসানসোল দক্ষিণ (পিপি) থানার ইনচার্জ সঞ্জীব দের নেতৃত্বে একটি টিম তৈরি করা হয়। সেই টিম ঐ হোটেলে হানা দিয়ে এই ৫ জনকে আটক করে।

তাদের জেরা করতে, তাদের কথায় অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। এরপর আরো জেরা করায় এই তক্ষক কেনাবেচার বিষয়টি জানা যায়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বিরল প্রজাতির তক্ষক। তিনি আরো বলেন, গোটা বিষয়টি বন দপ্তরকে জানানো হয়েছে। বন দপ্তরের আধিকারিকরা তক্ষকটিকে দেখে গেছেন। তারা প্রাথমিক ভাবে বলেছেন, এটি বিরল প্রজাতির। এর বাজার মূল্য অনেক। এটা ধরা ও বিক্রি করা বেআইনি। ধৃত ৫ জনের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী পাচার সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। রবিবার ধৃতদেরকে আসানসোল আদালতে তুলে, তাদেরকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে।।