বার্নপুরে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান গিয়ে দামোদরে ডুবে মৃত্যু দুই কিশোরের মৃত্যু
বেঙ্গল মিরর, বার্নপুর ও আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় রানিগঞ্জের পরে এবার বার্নপুরের মর্মান্তিক ঘটনা। বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়ে দামোদর নদীতে ডুবে মৃত্যু হলো দুই কিশোরের। আরো চারজন অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে যায়। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হিরাপুর থানার বার্নপুরে ভুতনাথ মন্দিরের কাছে। মৃত দুই কিশোরের নাম হলো বার্নপুরের নরসিংবাঁধ সাউ রোডের রমনদ্বীপ মালোধারা (২০) ও নরসিংবাঁধ মিঠাই গলির অমিত দাস (২১)। মৃতদের মধ্যে একজন এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলো। এদিন বিকেলে আসানসোল জেলা হাসপাতালে দুজনের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় নরসিংবাঁধ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।




পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালের দিকে আসানসোল পুরনিগমের ৭৭ নং ওয়ার্ডের বার্নপুরের নরসিংবাঁধ এলাকার জনা ছয়েক কিশোর বার্নপুরে ভুতনাথ মন্দিরের কাছে দামোদর নদীতে স্নান করতে যায়। তারা সবাই দুপুরের দিকে দামোদর নদীতে স্নান করছিলো। আচমকাই তাদের মধ্যে রমনদ্বীপ মালোধারা ও অমিত দাস দামোদর নদীতে তলিয়ে যায়। বাকি চারজন কোনমতে নদী থেকে উঠে আসে। তাদের চিৎকারে আশপাশের এলাকার বাসিন্দা যারা স্নান করছিলেন তারা দৌড়ে আসেন। খবর পেয়ে হিরাপুর থানার পুলিশ এলাকায় আসে। পাশাপাশি আসেন কিশোরদের পরিবারের সদস্যরা। বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টা দুপুর তিনটে নাগাদ দুজনকে দামোদর নদী থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই প্রসঙ্গে ৭৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গুরমিত সিং বলেন, এদিন সকালে নরসিংবাঁধ এলাকার বাসিন্দা ৬ জন কিশোর দামোদর নদীতে স্নান করতে যায়। তারা সবাই বন্ধু। তারা স্নান করতে নদীতে নামার পরে জলে ডুবে যায় দুজন। বাকিরা বেঁচে যায়। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ৬ বন্ধু এদিন দামোদর নদীতে স্নান করতে গেছিলো। তার মধ্যে দুজন ডুবে মারা গেছে। প্রসঙ্গতঃ, দিন চারেক আগে একইভাবে জামুড়িয়ার বাসিন্দা এক খনি কর্মী রানিগঞ্জে বন্ধুদের সঙ্গে দামোদর নদীতে স্নান করতে গিয়ে ডুবে যায়। দুদিন পরে তার দেহ উদ্ধার করা হয়।