জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিতেই মারধরের অভিযোগ, ভিত্তিহীন দাবি তৃণমূলের পহেলগাঁওয়ে গিয়ে বলুন
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী,, দুর্গাপুর : জয় শ্রী রাম’, ধ্বনি দিতেই মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত বিজেপি কর্মী চিকিৎসাধীন মহকুমা হাসপাতালে। ভিত্তিহীন অভিযোগ দাবি করে তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটানোর পাল্টা অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। শাসক বিরোধীর দ্বন্দ্বে তোলপাড় কাঁকসার বিদবিহারের কাজলাডিহি গ্রাম।ঘটনার সূত্রপাত, বৃহস্পতিবার রাতে। সেই রাতে হরিনাম সংকীর্তন চলছিল। তখনই এলাকার এক বিজেপি কর্মী তপন হাজরার সাথে এলাকার বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীর কথা কাটাকাটি হয়। তারপরেই তৃণমূল কর্মী জীবন মন্ডল, নরহরি মাঝি, পূর্ণচন্দ্র মাঝি সহ বেশ কয়েকজন লোহার রড,লাঠি, ইট, পাটকেল নিয়ে হামলা চালায় ওই বিজেপি কর্মীর উপর বলে অভিযোগ। শুক্রবার ফের শুরু হয় অশান্তি। সেদিন বিজেপি কর্মী তপন হাজরা তৃণমূল কর্মী জীবন মন্ডলের ওপর চড়াও হয় এবং জীবন মন্ডলের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। শনিবার রাতে বিজেপি কর্মী বিজয় হাজরাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।




বিজেপি কর্মী তপন হাজরার অভিযোগ,”আমি শুধু জয় শ্রীরাম বলেছিলাম। সেই জন্য আমাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয় জীবন মন্ডল, নরহরি মাঝি, পূর্ণ চন্দ্র মাঝি সহ ১১ জন তৃণমূল কর্মী আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমি মেল মারফত পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।” পুরো অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে এলাকার তৃণমূল নেতা নরহরি মাঝি বলেন,” হরিনাম সংকীর্তনের রাতে মদ খেয়ে অশালীন মন্তব্য করছিল বিজেপি কর্মী তপন হাজরার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন। পরের দিন ফের জীবন মন্ডলের মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।”
কটাক্ষ করে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”আমাদের রাষ্ট্রাবাদী যুবককে বেধড়ক মারধর করেছে তৃণমূল কর্মীরা। আমাদের ছেলেরা তাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আমরা দ্রুত ওই তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার চাইছি।” পাল্টা জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন,” আমরা জানি বৈশাখ মাসে হরিনাম সংকীর্তন হলে বৃষ্টি হয়। যিনি জয় শ্রীরাম বলেছেন তাকে বলবো পহেলগাঁওয়ে গিয়ে জয় শ্রীরাম বলুন জীবন সার্থক হবে।”