দুর্গোৎসবে বার্নপুরের গ্রামে ক্ষুদেদের নতুন বস্ত্র দিলো ” ইয়োর অর্গানাইজেশন “
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে পাশে আমেরিকার দুই প্রবাসী বাঙালি
বেঙ্গল মিরর, বার্নপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসন্ন দুর্গোৎসব প্রাক্কালে রবিবার ” ইয়োর অর্গানাইজেশন” র পক্ষ থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বার্নপুরের শ্যামডিহি সাঁওতাল পাড়ার জনজাতির সম্প্রদায়ের শিশু, বালক ও বালিকাদের জামাকাপড় দেওয়া করা হয়। সংখ্যাটা কমবেশি ৬৫ জনের মতো। এই উপলক্ষে এদিন ঐ এলাকায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। সংগঠনের চিফ পেট্রোন ড. মহাদেব মাজি বলেন, আমরা গত তিনবছর ধরে এখানে দুর্গাপুজো এবং বাদান উৎসবে কোলের শিশু থেকে বাচ্চা থেকে বড়দের নতুন জামাকাপড় এবং মহিলাদের শাড়ি দিয়ে আসছি।













এদিন আমরা এখানে ৬৫ জন ছোট ছেলেমেয়েদের শার্ট, প্যান্ট, সালোয়ার কামিজ ও চুড়িদার দিয়েছি।ইয়োর অর্গানাইজেশন অন্যতম কর্মকর্তা শিক্ষক বিশ্বনাথ মিত্র বলেন, এদিনের বস্ত্রদান সহ পরবর্তী জনহিত কর কাজের জন্য প্রতি বছরের মত এই বছরও যথেষ্ট পরিমান অনুদান পাঠিয়েছেন সংগঠনের শুভাকাঙ্খী আমেরিকার ভার্জিনিয়া প্রদেশের ফেয়ারফ্যাক্স শহরের প্রবাসী বাঙালি শিল্পপতি ও সমাজসেবী পুলক চক্রবর্তী।
একই শহরের আর এক প্রবাসী বাঙালি দেবযানী সরকারও এই মহতী উদ্যোগে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া ইওর অর্গানাইজেশনের সকল সদস্য নিজেরাই যথাসাধ্য অর্থ সাহায্য করেছেন।এই প্রসঙ্গে সংস্থার অন্যতম সদস্য শিক্ষক সৌরভ লায়েক বলেন, উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়ে আমরা অতি শীঘ্র অন্যান্য এলাকায় সেখানকার বাসিন্দাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সাহায্য করবো।শিক্ষিকা সুনন্দা পাল দত্ত বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের যেরকম ভালো জামাকাপড় কিনে দিয়ে থাকি, ঠিক সেইরকম উন্নতমানের পোশাক শ্যামডিহির সাঁওতালি পাড়ার বাচ্চাদের জন্যও কিনেছি।
এদিকে, শ্যামডিহি সাঁওতাল পাড়ার মাম্পি সোরেন, আশিক সোরেন, মৌসুমি হাঁসদা, আরবিন হাঁসদা, লতিকা মুর্মু, অর্জুন মুর্মু, সোমনাথ মুর্মু, দিপালী হেমব্রম, রোহিত মুর্মুরা প্রতিবারের মতো এবারেও অপেক্ষায় ছিল কবে কখন শহর থেকে তাদের প্রিয় আন্টি, আঙ্কেল, বড় দাদারা তাদের জন্য পুজোর নতুন রং-বেরঙের জামাকাপড় নিয়ে আসবে। এদিন, সেই আন্টি, আঙ্কেল ও দাদারা যখন এলো তখন ওরা কেউ পেল সালোয়ার কামিজ, কেউ বা ফ্রক, কেউ প্যান্ট শার্ট। এমন কি মাত্র তিন বছরের সৃজন কিংবা দু’বছরের মহিমার হাতে যখন নতুন জামা দেওয়া হল। তখন এক অনাবিল আনন্দে যেন কাশফুল ফুটে উঠলো, অনেক কিছু না পাওয়া দরিদ্র এই প্রান্তিক জনবস্তিতে।
এদিনের এই বাচ্চাদের পুজোর পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানটিকে পরিচালনা করতে সাহায্য করেন অতনু চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ দাস, জয়দীপ দাশ প্রমুখ।এদিনের এই বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষিকা কঙ্কনা শুঁই, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দেবজিৎ রায়, মধুরিমা দাশগুপ্ত, শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়, সীমা মিত্র।

