আম্বেদকর থেকে রবীন্দ্রনাথ — প্রতিরোধের চেতনা নিয়ে পথে নামল বাংলা
বেঙ্গল মিরর, কোলকাতা: বাংলা বরাবরই প্রতিবাদকে অভিব্যক্তির মাধ্যম হিসেবে দেখেছে। বাংলার নবজাগরণের সময় রাজা রামমোহন রায় ও পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সমাজের গোঁড়ামিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। ১৯০৫ সালের স্বদেশি আন্দোলনে কবিতা ও গান হয়ে উঠেছিল প্রতিরোধের অস্ত্র। সেই সময়ই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন “বাংলার মাটি বাংলার জল”। পরবর্তী সময়ে কাজী নজরুল ইসলাম, মহাশ্বেতা দেবী ও উৎপল দত্ত রাজনৈতিক প্রতিবাদকে রূপ দিয়েছিলেন শিল্পে। ভাষা আন্দোলন থেকে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলা দেখিয়েছে, তার প্রতিরোধ সৃষ্টিশীলতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। মঙ্গলবার সেই ঐতিহ্যেরই পুনরাবৃত্তি ঘটল।













স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (SIR)এর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের মহামিছিল হয়ে উঠল বাংলার প্রতিবাদের প্রতীক। রেড রোডে ডক্টর বি.আর. আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে মিছিল পৌঁছয় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে; একদিকে আম্বেদকরের সামাজিক সমতার বার্তা, অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথের মানবতার আদর্শ।মিছিলের শুরুতেই ছিলেন সকল ধর্মের ধর্মগুরুরা, তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর পরের সারিতে ছিলেন মহিলা নেত্রী, শিল্পী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। এবং অসংখ্য় মানুষ। এই মিছিল স্মরণ করিয়ে দিল বাংলায় প্রতিবাদ শুধুমাত্র রাজনীতি নয়, এটি সমতা, বৈচিত্র্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গীকার। প্রতিরোধ এখানে এক শিল্প, প্রতিবাদ এক গর্বের ভাষা- এটি ছিল বাংলার পরিচয়ের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।

