চলবে ১০ দিন/৩৯ তম আসানসোল বইমেলার উদ্বোধন করলেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র / পোলো ময়দানের নাম বইমেলা ময়দান নামে করার ঘোষণা
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, পোলো ময়দানের নাম ” আসানসোল বইমেলা ময়দান ” নামে করার একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই কারনে এই ময়দান ঘেরার কাজ শুরু হয়ে গেছে। সেই ঘেরার কাজ হয়ে গেলে, একটা গেট লাগানো হবে। সেই গেটে আসানসোল বইমেলা ময়দান লেখা থাকবে। উদ্যোক্তাদের কাছে আমার অনুরোধ এই ময়দান আপনারা এই ময়দান বইমেলা করার জন্য স্থায়ীভাবে ব্যবহার করুন। বিভিন্ন সংস্থার কাছে আমার অনুরোধ, তারাও এই ময়দান তাদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করুন। মেয়র বলেন, এই বইমেলা প্রত্যেক বছরই আয়োজন করা হয়ে আসছে। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতি খুব ভয়ংকর। যদি এই ভয়ংকর পরিস্থিতি জারি থাকে তাহলে,, আগামী দিনে যেসব মানুষেরা নিজেদের বিচার ধারা বইয়ের মাধ্যমে লেখেন। তারা তা লিখতে পারবেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। বাক স্বাধীনতাও না থাকতে পারে। তাই এখন থেকেই যদি এইসবের প্রতিবাদ করা শুরু না হয়, তাহলে বইমেলা যেমন আয়োজন হচ্ছে, তা হয়তো হবে। কিন্তু সেই বইমেলায় কি কি বই থাকবে, তা বাইরের শক্তি ঠিক করে দেবে। বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের বিচার ধারা প্রয়োগ করার স্বাধীনতা থাকবে না। তিনি আরো বলেন, যেসব মানুষেরা এই গৌরবশালী ধারাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করছেন, আমরা যারা অন্য কাজ করি, তাদের সঙ্গে থাকার দায়িত্ব, আমাদের পালন করতে হবে। এটা অন্য কেউ আর দেখবে না। আমাদের সবাইকে এর বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করতে হবে। এই বইমেলার উদ্যোক্তাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা যে চিন্তা ভাবনা নিয়ে বইমেলা শুরু করেছেন, সেই ধারাকে ধরে রাখুন। আগামী দিনে সেই ধারাতেই বইমেলা আয়োজন করুন। বাকি যা সুযোগ সুবিধা দরকার, আমরা তা অবশ্যই দেবো। কিন্তু এরপরেও অভিব্যক্তির স্বাধীনতা থাকবে কিনা তা নিয়েও সংশয় আছে। তাতে আমাদের ভূমিকা কি হবে, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার সময় এসে গেছে ও এবং তা খুব জরুরি। আসানসোলের মানুষদের কাছে আমার অনুরোধ এই বইমেলায় আসুন। বই কিনুন, আর সেই বই পড়ুন। তার সঙ্গে দেশ, রাজ্য ও নিজের শহরকে ভালোবাসুন। পাশাপাশি নিজের সংস্কৃতিকেও ভালোবাসুন। তার সঙ্গে দেখুন এর মধ্যে, বাইরের কেউ হস্তক্ষেপ করতে না পারে। আর তারপরেও যদি কেউ তা করে, তারজন্য বিরোধিতা করার জনয় তৈরী থাকুন।