করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিষয়কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আসানসোল পুরসভার মেয়র পারিষদগণকে নিয়ে গঠিত হল বিশেষ টিম
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, ৫ ই এপ্রিল,২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির নিয়ে সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি ভারতবাসী এবং প্রশাসনিক কর্তারা রীতিমত চিন্তিত।
এমতবস্থায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল করপোরেশনে মেয়র পারিষদ দের নিয়ে গতকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
মূলত এই বৈঠকে লক ডাউনের পরবর্তী সময়ে সোশ্যাল ডিস্টান্সিং এবং তার প্রয়োগ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এছাড়া সবজি বাজার, মুদিখানার দোকানের জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে , জিনিসপত্রের যোগান এসব বিষয়ও আলোচিত হয়।
এই সমস্ত দেখতে প্রত্যেক এম এম আই সি কে এক একটি এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়। আসানসোল উত্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন অভিজিৎ ঘটক, বার্ণপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন লক্ষণ ঠাকুর, তাবাসসুম আরা হন কুলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভৃতি। শ্যাম সোরেন তার এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে তাদের কাজ হবে তারা তাদের এলাকার বাজার গুলিতে ঘুরবেন, সাধারণ জনসাধারণকে বোঝাবেন যাতে তারা সোশ্যাল ডিসটেন্স প্রটোকল বজায় রেখে চলেন এবং একসঙ্গে একজায়গায় যাতে অনেক মানুষ ভিড় না করেন। অন্যথায় তারা পুলিশকে খবর দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবেন।
এছাড়া এলাকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কেও তারা দেখভাল করবেন। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে সেই সমস্ত এলাকায় যেখানকার মানুষ কোভিড-১৯ পজিটিভ কেসের সংস্পর্শে রয়েছেন।
এছাড়া কোভিড-১৯ পজিটিভ ব্যক্তির মৃতদেহ দাহ এবং সৎকারের জন্যে একটি বিশেষ টিম তৈরী করা হয়েছে। এই টীমে রয়েছেন লক্ষণ ঠাকুর, দিব্যেন্দু ভগৎ, মীর হাসিম। সেই টিম এর সদস্যরা করোনা ভাইরাস জনিত কারণে কোনো মৃত্যুর খবর পেলে তৎক্ষণাৎ সক্রিয় হবেন এবং তারা শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত গোটা ব্যাপারটি প্রথা অনুযায়ী যাতে হয় সেটি পর্যবেক্ষণে রাখবেন।
এরপর গুরুত্ব দেওয়া হয় স্বাস্থ্য বিষয়ক আপৎকালীন ব্যবস্থার ওপর। যে সমস্ত মানুষকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হবে তাদের ওপর নজরদারি জারি থাকবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের রোজকার উপস্থিতি নজরে রাখা হবে। এর সঙ্গে সুরক্ষা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা হবে স্থান, সময় বুঝে। জ্বর সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর নজর রাখা হবে। এক্ষেত্রে বিশেষ টিমে থাকবেন অভিজিৎ ঘটক, দিব্যেন্দু ভগৎ, মীর হাসিম।
এর পরের টিম তৈরী করা হয় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বিষয়ে। এই টিমের কাজ হবে স্থান, সময় বুঝে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান দেওয়া, রেশনিং এবং জেলাশাসক অফিস এবং পুলিশের মাঝে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করার। এই টিমে থাকছেন তাবাসসুম আরা, পূর্ণশশী রায়, অঞ্জনা শর্মা, অমর রাম।
এরপরের এবং শেষ বিষয়টি জার ওপর টিম গঠন করা হয়েছে সেটি হলো ওয়াটার সাপ্লাই বা জল সরবরাহ। এটির কাজ হলো যাতে বাধাহীনভাবে জল সরবরাহ হয় সেটিকে নজরে রাখা। ঠিক পরিমাণে ব্লিচিং মিশ্রণ, জলের পরীক্ষা যাতে ঠিক ভাবে করা হয় সেটি দেখা এবং জলবাহিত রোগ যেমন ডায়ারিয়া যাতে না হয় সেটি দিকে নজর রাখা এবং কোনোভাবে নজরে এলে সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়া। এই জল সংক্রান্ত বিষয়ক টিমে রয়েছেন পূর্ণশশী রায়, লক্ষণ ঠাকুর এবং দিব্যেন্দু ভগৎ।
করোনা পরিস্থিতিতে করপোরেশনে এম এম আই সি দের নিয়ে গঠিত এই টিম যে যথেষ্ট গুরুত্ব রাখে তা বলেই বাহুল্য।