ASANSOLASANSOL-BURNPURLatestNewsPolitics

সাংসদ রঙ্গমঞ্চের মানুষ – অভিনয় করে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন: অশোক রুদ্র

কুলটির জলপ্রকল্পকে কেন্দ্রের বলে চালাবার চেষ্টা সাংসদের : তাপস ব্যানার্জি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
“কুলটির জল প্রকল্প আসানসোলের সাংসদ নিজের উদ্যোগ বলে বলবার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আদতে সেটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আসানসোল কর্পোরেশনের বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এর চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারির উদ্যোগ” , এমনটাই বললেন এডিডিএ চেয়ারম্যান এবং আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তাপস ব্যানার্জি।”
এদিকে রঙ্গমঞ্চের মানুষ হিসেবে নিজের ক্রেডিট নিতে অভিনয় ভালো করতে পারেন বলে এলাকার সাংসদকে কটাক্ষ করলেন আসানসোল কর্পোরেশনের বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এর সদস্য অশোক রুদ্র।


রবিবার দুপুরে আসানসোলের জেলা কার্যালয় অগ্নিকন্যা ভবনে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক রুদ্র ছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার কো – অর্ডিনেটর হরেরাম সিং।

অশোক রুদ্র অভিযোগ করেন বিগত ৭ মাসে করোনা পরিস্থিতিতে এলাকার সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় কে মানুষ পাশে পায়নি অথবা সাংসদ প্রতিনিধিদের সেভাবে জনসেবায় দেখা যায় নি। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী থেকে বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে দাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আসানসোলের মানুষকে তিনি অপমান করেছেন কারণ তিনি বলেছেন আসানসোলে তিনি এলেই ভিড় হয়ে যাবে এবং করোনা সংক্রমনের পরিস্থিতি তৈরি হবে। তাহলে সেক্ষেত্রে তিনি এত লোককে সেখানে এলাও করবেন কেনো। এই অপমানজনক কথাবার্তা আসানসোলের মানুষ মেনে নেবেনা। দরকারের সময় আসানসোল এবং দুর্গাপুরের – বর্ধমান এই দুই জায়গার সাংসদকে মানুষ কাছে পায় না এটি জেলার মানুষ আমাদের বার বার অভিযোগ করেন।”


কিছুদিন আগে সাংসদ দাবি করেছিলেন গলি গলিতে যাওয়া তার কাজ নয়,
কুমারপুর রেল ব্রিজ থেকে মেগা প্রজেক্ট, নিবিড় বনসৃজন প্রকল্প এবং ই এস আই হাসপাতালের মাস্টার প্ল্যানের জন্য ক্রমাগত দিল্লীতে বসে কাজ করে চলেছেন।

তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষ চায়


এ ব্যাপারে অশোক রুদ্র বলেন, সাংসদ “গলি গলি” তে যান না এটি তার রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষ চায় এবং সে কারণে তৃণমূলে কংগ্রেসের সৈনিকরা “গলি- গলি” তে যান এবং মানুষের পাশে দাড়ান। এছাড়া বলেন আমরা আসানসোলের ভূমিপুত্র তাই এলাকার মানুষের কাছে আমরা জবাবদিহি করতে বাধ্য। কিন্তু উনি তো আর আসানসোলের মানুষ নন। তাই আসানসোলের মানুষে জবাবদিহির ব্যাপার থাকেনা।”
তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারি বিভিন্ন সংস্থার হাতে জমি থাকা সত্ত্বেও নগর বন প্রকল্প প্রভৃতির জন্যে আসানসোল কর্পোরেশন এবং রাজ্য সরকারের কাছে জমি চাইছেন সাংসদ।”

জেলার কো – অর্ডিনেটর
হরেরাম সিং একইভাবে বলেন, “লকডাউন এর সময় এলাকার সংসদ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কে দেখতে পাওয়া যায়নি এলাকায় কিন্তু এখন তিনি বলছেন করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে আসেন নি। তাহলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার দায়িত্ব কিভাবে পালন করবেন। বিভিন্ন খাতে কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারকে বঞ্চনা করছে। এর আগে আম্ফানে ক্ষতি হয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকার কিন্তু কেন্দ্র সাহায্য করেছে মাত্র ১০০০ কোটি।”

Leave a Reply