কোন গোপন চুক্তির ভিত্তিতে এই প্যানেলটি গঠন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১০ নভেম্বর। তবে তার আগে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের পালা চলছে। চেম্বার নির্বাচন নিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তেজনাপূর্ন হয়ে উঠছে। কার্যকারিনি সদস্য প্রার্থী পিন্টু গুপ্ত গতকাল অভিযোগ করেছিলেন যে চেম্বার ভবনটি বিক্রি করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। যার পরে একটি বড় প্রশ্ন আসছে, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী এর জন্য নিজেকে একত্রিত করেছে?
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
পিন্টু বললেন ছেড়ে দিয়েছি, বাগরীয়া বললেন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2020/11/IMG-20201105-WA0009.jpg?resize=500%2C281&ssl=1)
প্রথমে তারা বলেছিলেন যে পিন্টু গুপ্ত তাদের সাথে আছেন। তারা পিন্টু গুপ্তের সাথে একটি সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। এখন তারা একটি নতুন প্যানেল তৈরি করেছে যাতে পিন্টু গুপ্তের নাম নেই। সংবাদ সম্মেলনে পিন্টু গুপ্ত যখন দু’জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন, তখন তাঁর পক্ষে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল যে তারা পিন্টু গুপ্তকে প্যানেল থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
সম্পত্তির বিবাদে বিপর্যয়
এদিকে পিন্টু গুপ্ত দাবি করেছেন যে তিনি নিজেই প্যানেল থেকে সরে গেছেন। কারণ তিনি অন্যায়ের সাথে আপস করতে পারবেন না। তাদের একমাত্র দাবি চেম্বারের বিতর্কিত সম্পত্তির রেজিস্ট্রি বাতিল করা। তিনি অভিযোগ করেন যে এতে কাটমানির একটি বড় খেলা ছিল। কাটমানির বিষয়টি চাপছেন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়টি সমাধানের জন্য কয়েক মাস আগে চেম্বারের বৈঠকে সহমত পোষণ করা হয়েছিল, এর জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। তদন্তের দায়িত্ব কমিটির উপর অর্পণ করা হলেও কমিটি কোনও তদন্ত পরিচালনা করতে পারেনি। নির্বাচনের ঘোষণা যখন হয়েছিল ঠিক তখনই কমিটির লোকজন অভিযুক্তদের নিয়ে প্যানেল গঠন করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে কোন গোপন চুক্তির ভিত্তিতে এই প্যানেলটি গঠন করা হয় সেটি এখন লক্ষ্য করার।