ASANSOLBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANHealthLatest

বাংলায় প্রথম কোন জেলা হাসপাতালে এই স্পাইন অপারেশন

ভেঙ্গে যাওয়া শিরদাঁড়ার সফল অস্ত্রোপচার আসানসোল জেলা হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জেনের
সরকারি ক্ষেত্রে প্রথম বলে দাবি কতৃপক্ষের

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৬ নভেম্বরঃ ভেঙ্গে যাওয়া শিরদাঁড়ার সফল অস্ত্রোপচার বা স্পাইন অপারেশন spine operation আসানসোল জেলা হাসপাতালে asansol district hospital সাধারণ ধর্মঘটের দিন বৃহস্পতিবার সকালে চৈতালি বাউরি নামে এক মহিলার এই অস্ত্রোপচার করেন আসানসোল জেলা হাসপাতালে অর্থোপেডিক সার্জেন বা অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ সমীরণ দে। তাকে সাহায্য করেছেন জেলা হাসপাতালের দুই এ্যানাসথেস্টিট ডাঃ মাধব মন্ডল ও ডাঃ সুকন্যা রায় ।

জেলা হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবি, জেলা হাসপাতালে এই ধরনের অপারেশন সাধারণতঃ করা হয়না। বাংলায় এই প্রথম কোন জেলা হাসপাতালে এই স্পাইন অপারেশন করা হলো।
বেসরকারি কোন হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার করতে খরচ কমপক্ষে আড়াই লক্ষ টাকা।

অস্ত্রোপচার করা না হলে, রোগীর সমস্যা হতে পারে


হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহ খানেক আগে আসানসোলের দোমহানি এলাকার বাসিন্দা বছর ৩০ এর চৈতালি বাউরি হনুমানের তাড়ায় বাড়ির ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। তাতে তিনি গুরতর আহত হন। বাড়ির লোকেরা তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জেন ডাঃ সমীরণ দে তার চিকিৎসা শুরু করেন। এক্সরে সহ বিভিন্ন পরীক্ষার পরে চিকিৎসক বুঝতে পারেন, রোগীর শিরদাঁড়া বা স্পাইনে ( এল২ ভাটিব্রা) বড় ধরনের চোট লেগেছে। হাড় ভেঙ্গে বসে গেছে। সেই সঙ্গে নার্ভ বা শিরাতে চাপ পড়েছে। এর ফলে রোগী ডান পা একবারে অবশ হয়ে গেছে। বাঁ পায়েরও অবস্থা খারাপ। হাঁটাচলার কোন ক্ষমতা নেই। চিকিৎসক বুঝতে পারেন দ্রুত অস্ত্রোপচার করা না হলে, রোগীর সমস্যা হতে পারে।

গোটা বিষয়টি চিকিৎসক হাসপাতাল সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাসকে বলেন। সুপার তাকে অস্ত্রপচার করার সবুজ সংকেত দেন। সেই মতো এদিন চিকিৎসক রোগীর অস্ত্রপচার করেন।
পরে তিনি বলেন, চারটি স্ক্রু দিয়ে একটি রড বসানো হয়েছে। এই ধরনের অপারেশন জেলা হাসপাতালে করা হয় না। অনেক ঝুঁকি থাকে। তাও রোগীর শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে এদিন আমি তা করেছি। সুপারের পাশাপাশি দুই এ্যানাসথেস্টেট আমাকে সাহায্য করেছেন। সময় লেগেছে ১ ঘন্টা ২০ মিনিট।

বিকালেই রোগীর ঞ্জান ফিরেছে। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে ৮/১০ হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রেখে সেলাই কেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। এরপর রোগী ক্র্যাচ দিয়ে হাঁটা শুরু করবেন। ১৪ দিন পর থেকে রোগী ক্র্যাচ ছাড়া আস্তে আস্তে হাঁটতে পারবেন। স্বাভাবিক ভাবে রোগী হাঁটতে পারবেন সবচেয়ে বেশি তিন মাসের মধ্যে।


সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, জেলা হাসপাতালে এই ধরনের অপারেশন হওয়ায় একটা ভালো বার্তা যাবে সাধারণ মানুষের কাছে। চিকিৎসক যে ঝুঁকি নিয়ে এমন একটা অপারেশন করেছেন তার জন্য তাকে সাধুবাদ।

Leave a Reply