ASANSOLHealth

জেলায় ১৫ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মীর হবে টিকাকরণ, রাখা হয়েছে ৩৭ লাখ সিরিঞ্জেরও

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তিনটি জায়গা চিহ্নিত, ২৮ টি কোল্ড চেক পয়েন্ট
আসানসোল জেলা হাসপাতালে করোনা টিকাকরণের ড্রাই রান

বেঙ্গল মিরর,আসানসোল,
রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত
, আসানসোল, ৮ জানুয়ারিঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় শুক্রবার করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসাবে টিকা করণের মহড়া বা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান করা হলো। জেলার তিনটি জায়গাকে এই টিকা করণের মহড়ার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সেই তিনটি জায়গা হলো আসানসোল জেলা হাসপাতাল, আসানসোলের ধাদকা ও দূর্গাপুরের লাউদোহা পিএইচসি বা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র।


আসানসোল জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবনের আউটডোরের একটা অংশকে কোভিড ভ্যাকসিনেশান এরিয়া হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিন সকালে এগারোটা নাগাদ সঙ্গে সেখানে আসেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কোভিড ভ্যাকসিনেশনের নোডাল অফিসার সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। ছিলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস সহ অন্যান্য সহকারী সুপার ও কর্মীরা।


জেলা হাসপাতাল কতৃপক্ষের নির্দিষ্ট করে দেওয়া বেশ কিছু স্বাস্থ্য কর্মীকে এদিনের ড্রাই রানের ভলেন্টিয়ার হিসাবে বাছাই করা হয়েছে। এছাড়াও নার্সদের এই টিকাকরণের ড্রাই রানের ভ্যাকসিনেটার করা হয়েছে। এছাড়াও রাখা হয়েছে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককেও। এদিন প্রত্যককেই ড্রাই রানের মাধ্যমে সবকিছু হাতে কলমে শেখানো হয়। যখন টিকা করণের কাজ শুরু হবে তখন গোটা প্রক্রিয়া যাতে কোন সমস্যা না হয়, তা বোঝানো হয়।


এই প্রসঙ্গে ডিএমসিএইচও বা ডিআইও স্বপন বিশ্বাস বলেন, জেলার তিন জায়গাকে টিকাকরণের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই তিনটি জায়গায় এদিন ড্রাই রান করা হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য দপ্তর যা যা গাইড লাইন দিয়েছে, সেই মতো এদিন ড্রাই রান করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই জেলার ১৫ হাজারেরও বেশি নাম টিকাকরণের জন্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। এরা সবাই স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত। যাদের মধ্যে আছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী। তাদের সব তথ্য নেওয়া হয়েছে।
এদিনের ড্রাই রানের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেীছিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।


ভ্যাকসিন রাখার জন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ২৮ টি কেন্দ্র বা কোল্ড চেন পয়েন্ট করা হয়েছে। সেখান থেকেই দেওয়া হবে ভ্যাকসিন বা টিকা। ভ্যাকসিনের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ৩৭ লাখ সিরিঞ্জেরও। আসানসোল জেলা হাসপাতাল ও দূর্গাপুর মহুকুমা হাসপাতালে টিকা বা ভ্যাকসিন রাখার জন্য স্টোর করা হয়েছে। জানা গেছে, ডব্লিউআইসি নামে বিরাট আকারের একটি ফ্রিজ হয়, তাতে দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। জেলাতে ভ্যাকসিন রাখার জন্য সেই ফ্রিজেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রথম পর্যায়ে এই জেলায় ১৫ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক বাছাই করা হয়েছে, তারমধ্যে সরকারি ৮ হাজার ৬২৬ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। বাকিরা হলেন জেলার শতাধিক বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও চিকিৎসক।


আরো জানা গেছে, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর প্রথম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার জন্য ৪৫০ জনের মতো চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জেলার ১৬ বছরের উপরে থাকা সবাইকে টিকার দুটো করে ডোজ দেওয়া হবে তখন ৫ হাজারের মতো চিকিৎসক ও কর্মী লাগবে। একটি শিশি বা ভায়ালে ১০ ডোজ টিকা রাখা থাকবে। একটি শিশি থেকে ১০ জনকে টিকা দেওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *