Bengali NewsRANIGANJ-JAMURIA

আচমকা ধসে মাটির তলায় চলে গেলো গোটা একটা কুয়ো

জামুড়িয়ার ঘটনা, প্রাণে বাঁচলেন এক মহিলা

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৪ ফেব্রুয়ারিঃ আসানসোলের জামুড়িয়া থানার কেন্দা ফাঁড়ির কেন্দা গ্রামের ভগু ডাঙ্গাল এলাকায় একটা কুয়ো ধসে মাটির নিচে চলে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । ধসের ঘটনার সময় ঐ কুয়োতে জল তুলছিলেন গ্রামেরই বাসিন্দা এক মহিলা। ভাগ্যক্রমে প্রানে বাঁচেন ঐ মহিলা।


এই ঘটনার পরে গ্রামবাসীরা ইসিএলের কোলিয়ারির এজেন্ট অফিসে এসে এজেন্টের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের তরফে তাদেরকে বলা হয়, যে কুয়োয় ধস হয়েছে, তার পাশে যার বাড়ি আছে এমন একটি পরিবারকে অস্থায়ীভাবে কোন আবাসনের সরিয়ে নিতে যাওয়া পারে। কিন্তু, ইসিএলের কাছে গ্রামবাসীদের দাবি ছিল বিকল্প কুয়ো তৈরি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ইসিএল কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীদের প্রস্তাবে রাজি হয়না।

তারা বলে, ইসিএল অস্থায়ীভাবে কিছুদিন ট্যাংকারে করে কোলিয়ারি থেকে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে । কিন্তু সেই জল পরিশুদ্ধ না হওয়ায় গ্রামবাসী তার বিরোধিতা করেন। এরপর এজেন্ট অফিসের সামনে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বিকেল পর্যন্ত অবস্থান করা হয়। কিন্তু তারপরেও তেমন কোন ইতিবাচক সাড়া মেলেনি ইসিএলের তরফে।
এদিন যে কুয়োটি ধসে যায়, তার পাশেই থাকেন যমুনা মণ্ডল নামে এক মহিলা।

তিনি বলেন, এদিন সকাল নটা নাগাদ আমার পুত্রবধূ সঞ্চিতা মণ্ডল বাড়ির পাশের এক সরকারি কুয়োতে জল তুলতে যায়। সে সময় হঠাৎ বিকট একটা শব্দ হয়। মুহূর্তের মধ্যে কিছু বুঝে উঠার আগেই কুয়োটি দড়ি বালতি সমেত ধসে মাটির নিচে চলে যায়। আমার পুত্রবধূ তা দেখে কোনমতে দৌড়ে পালিয়ে এসে নিজের প্রাণে বাঁচায়। এই সরকারি কুয়োটির উপরে এলাকার অনেক পরিবার নির্ভরশীল বলে জানা গেছে ।


এই প্রসঙ্গে কেন্দা গ্রাম রক্ষা কমিটির সম্পাদক সন্দীপ বন্দোপাধ্যায় এদিন বলেন, কেন্দা গ্রামের ২০৬৪ পরিবারকে পূনর্বাসনের জন্য ইসিএল থেকে অনেক আগে পরিচিতি পত্র দেওয়া হয়েছিলো। তাদেরকে বলা হয়েছিল, এই এলাকা থেকে সরিয়ে অনত্র নিয়ে যাওয়া হবে। আজ পর্যন্ত কাউকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়নি। আর এই ধরনের ধসের ঘটনায় মাঝেমধ্যেই গরু ও কুকুর মাটিতে তলিয়ে যায়। এদিন তো এক মহিলা কোন ক্রমে প্রাণে বেঁচে গেছেন। আমাদের দাবি, এলাকায় বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আর পুনর্বাসন না দেওয়া না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।

Leave a Reply