West Bengal

মুখ্যমন্ত্রী – আইনমন্ত্রীকে হলফনামার সঙ্গে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হল হাইকোর্টে

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
কলকাতা হাইকোর্ট নারদা মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হলফনামা গ্রহণ করেছেন। তবে হাইকোর্ট বলেছে যে এর বদলে সিবিআই একটি হলফনামা দাখিল করতে পারে। আদালত এটির জন্য সিবিআইকে ১০ দিনের সময় দিয়েছে। বুধবার হাইকোর্ট জানিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকার প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে আদালতে এই জরিমানা দিতে হবে।

বুধবার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চকে বলেন যে আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। সুতরাং, রাজ্যের পক্ষে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া জরুরি। এজন্যই হলফনামা দেওয়া দরকার। এই মন্তব্যের পরে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, “শুনানি দ্রুত সমাপ্ত হওয়া উচিত। এই বিষয়ে শুনানি বেশি দিন স্থায়ী হতে পারেনি। অন্যথায়, এটি জনগনের নিকট ভুল বার্তা যাবে “।

এই প্রসঙ্গে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আবারও মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এত দিন পরে কেন হলফনামা দিতে চান তাও তিনি সওয়াল করেন। অন্য এক বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, “রাজ্যের কাছে যদি তথ্য থাকে? তাহলে তাকে হলফনামা দিয়ে বলতে সমস্যা কী? তিনি কেন সিবিআইয়ের বিরোধিতা করছেন তাও তিনি বলেন। যদিও এরপরে হাইকোর্ট জরিমানার পাশাপাশি একটি হলফনামা দাখিল করে। একই সঙ্গে সিবিআইকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পৃথক হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ ই জুলাই স্থির করা হয়েছে।

জেনে রাখা ভালো যে , মমতা ও মলয় কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলায় তাঁদের বক্তব্য পেশের জন্য হলফনামা জমা দিতে ব্যর্থ হন। পরে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। ওই সময় সুপ্রিম কোর্ট এ আবেদন শুনানির জন্য বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর সমন্বয়ে ডিভিশন বেঞ্চ গড়েন।
গত ২২ জুন এ বেঞ্চে মমতার আবেদনের শুনানির তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এই ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু শুনানি গ্রহণে আপত্তি জানালে নতুন করে বিচারপতি বিনীত শরণ ও বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরীকে নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করেন সুপ্রিম কোর্ট। ওই বেঞ্চ হলফনামা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টকে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের এই নির্দেশ।

বস্তুত উল্লেখ্য,
গত ১৭ মে আলোচিত নারদ মামলায় সিবিআই গ্রেপ্তার করে তৃণমূল ও বিজেপির চার নেতাকে। তাঁরা হলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূলের বিধায়ক মদন মিত্র ও কলকাতার সাবেক মেয়র ও বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারের দিন মমতা কলকাতার সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেসে ছুটে গিয়ে ওই নেতাদের মুক্তি দাবি করেন। সেখানে অবস্থান নেন মমতা। একই সঙ্গে অভিযুক্ত চার নেতাকে কলকাতা সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলার সময় রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সেখানে উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের পক্ষে অবস্থান নেন।

शिक्षक भर्ती प्रक्रिया फिर कानूनी पचड़े में फंसी

Leave a Reply