Bengali NewsRANIGANJ-JAMURIARaniganj, jamuriaWest Bengal

স্ত্রীর সঙ্গে অস্বাভাবিক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, কলকাতা থেকে গ্রেফতার স্বামী

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়: কলকাতার নারকেলডাঙ্গার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর উপরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠলো। সূত্র মারফত জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট, আসানসোল জেলা আদালতের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু এবং তার জুনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম রানিগঞ্জের এক মহিলা আসানসোল মহিলা থানায় তার স্বামীর বিরুদ্ধে পনের জন্য যৌন নির্যাতন ও শারীরিক লাঞ্ছনার অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে নেমে আসানসোল মহিলা থানা কলকাতার নারকেলডাঙ্গা এলাকা থেকে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে। ধৃতর নাম আশুতোষ দেবরা বলে জানা গেছে। ধৃতকে শনিবার আসানসোল জেলা আদালতের সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশের তদন্তকারী অফিসার ধৃতর মেডিকেল পরীক্ষার আবেদন আদালতে করেন। সব যুক্তি শোনার পর আদালতের বিচারক ধৃতর
মেডিকেল পরীক্ষার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি জামিনের আবেদন নাকচ করে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জানা গেছে ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মহিলার বিয়ে হয়েছিলো।

বিয়ের সময়, পন বাবদ মহিলার বাপের বাড়ি থেকে, নগদ ৬ লক্ষ টাকা, সোনা ও রূপোর গয়না সহ অনেক অন্যান্য জিনিস দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আরো যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে অভিযুক্ত মহিলার উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। যদিও সেই অত্যাচার মহিলা সহ্য করে থাকেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি স্বামীর আচরণে অনেক পরিবর্তন দেখতে পান। মহিলার অভিযোগ, তার স্বামী তাকে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন। স্বামী মহিলার উপর চাপ দিয়ে তার মতের বিরুদ্ধে অনেক কাজ করতে বাধ্য করতো। স্বামী অশ্লীল ভিডিও দেখতোও স্ত্রীকে বাধ্য করতো। সেইসব কিছু অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছিলো মহিলার কাছে। মহিলার উপর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা টাকা দাবি করতে শুরু করে। একইসঙ্গে তাকে গালিগালাজও করা হতে থাকে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী মহিলা এইসব ঘটনা সহ্য করতে পারেনি। তিনি বাপের বাড়ি ফিরে এসে তার পরিবারের কাছে সমস্ত অত্যাচারের ঘটনা বলেন। এই মহিলা এরপর আসানসোল মহিলা থানায় ১৭ আগস্ট তার স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য ৩ সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন।

অবশেষে মূল অভিযুক্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। জানা গেছে আসানসোল মহিলা থানায় (কেস নং ৮২/২০২১ ) ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 498A/323/406/506/377/120B অনুযায়ী অভিযুক্ত ও অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে । পুলিশ জানায়, অভিযোগের তদন্ত চলছে।

Leave a Reply