BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANBengali News

টাকা না থাকায় বাবার আপত্তি, জিমে যেতে না পারায় অভিমানে আত্মঘাতী যুবক

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৮ সেপ্টেম্বরঃ পড়াশোনাতে যথেষ্ট মেধাবী । ডিপ্লোমা পাসও করেছে। শরীর চর্চার জন্য বাবাকে জিমে যাওয়ার বলেছিল। কিন্তু বাবার আর্থিক অবস্থা তেমনটা ভালো নয়। কোন মতে ফুলের ব্যবসা করে সংসার চালানোর পরে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়ে বড় করার চেষ্টা করেছেন। আপাতত জিমে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বাবা ও মা। তারা বলেছিলেন, ঐসব না করে, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে ও চাকরি করার চেষ্টা করো। যেহেতু জিমে যাওয়ার সুযোগ আটকে গেলো, তাই অভিমানে বাবা-মার অনুপস্থিতিতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলো এক যুবক।

মঙ্গলবার রাতে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে আসানসোলের সালানপুর থানার কল্যাণ গ্রামে। মৃত যুবকের নাম দীপায়ন দে (২৩)। একমাত্র সন্তানের এই পরিনতিতে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন দে দম্পতি। তারা কথা বলার মতো অবস্থাতেই নেই। যুবক সুইসাইড নোটে জিমে যেতে না পারার দুঃখের কথা লিখে নিজের জীবনকেই শেষ করে দিয়েছে। এই ঘটনায় কল্যান গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। বুধবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হয়।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কল্যাণ গ্রামের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জনের আমলাদাহি বাজারের ফুল বিক্রেতা দীপক দে মঙ্গলবার তার স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। পরে বাড়ি ফিরে দেখেন বাড়ির ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। ছেলেকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে কোনক্রমে দরজার ফাঁক দিয়ে তারা দেখেন, গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ছেলে ঝুলছে। তাদের চিৎকারে আশেপাশের মানুষেরা দৌড়ে আসেন। দরজা ভেঙে যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় একেবারে ভেঙে পড়েছেন দীপকবাবু ও তার স্ত্রী। ছেলে যে এমন অঘটন ঘটাতে পারে তা যেন তারা বিশ্বাসই করতে পারছেন না।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঐ যুবক বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগে দীপায়ন একটি সুইসাইড নোট লিখে রেখে যায়। সেখানে সে জিমের বিষয়টির উল্লেখ আছে বলে পুলিশ জানায়।

মহিলাদের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে, তিনজনকে মারধর করে আটক 

দূর্গাপুরে চাঞ্চল্য, ডিউটি ফেরত নার্সকে ধর্ষনের চেষ্টা, ধৃত দুই

Leave a Reply