ASANSOLASANSOL-BURNPUR

Asansol Double Murder শহরে চাঞ্চল্য, মাকে চৌবাচ্চায় ডুবিয়ে ও দাদাকে গলা কেটে খুন

পারিবারিক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে অসন্তোষের জেরে ঘটনা বলে অনুমান পুলিশের , থানায় আত্মসমর্পণ যুবকের

বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ১৬ সেপ্টেম্বরঃ (Asansol Double Murder ) বৃদ্ধা মাকে চৌবাচ্চায় ডুবিয়ে ও সেজদাদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করলো ভাই। পরে গিয়ে থানায় গিয়ে সেই ঘটনার কথা জানিয়ে আত্মসমর্পণ করলো ভাই। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ ঘটনার সত্যতার প্রমান পাওয়ায় যুবককে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। পরে বিকালে ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে আসানসোলের হিরাপুর থানার ইসমাইলের আজাদনগর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হিরাপুর থানার পুলিশ এলাকায় আসে। পরে আসেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম) অভিষেক মুদি। মৃতদের নাম হলো আখতারি খাতুন (৬৫) ও আফতাব আলম ( ৩৫)। ধৃত যুবকের নাম মহঃ আলম ওরফে পাপ্পু।


এই ঘটনা সম্পর্কে আখতারি খাতুনের বড় ছেলে সরবট আলম জানা, আমরা চার ভাই। মেজভাই হলো মহঃ আলম ওরফে পাপ্পু, সেজ মহঃ আফতাব আলম ও ছোট জাফর ইকবাল ওরফে রাজেন। আমাদের কিছু পারিবারিক সম্পত্তি বা জমি ছিলো। মা চারভাইয়ের নামে সেই জমি ভাগ করে দিয়েছিলেন। আমরা তিনভাই পরিবার নিয়ে মায়ের সঙ্গে আজাদনগরে থাকি। একমাত্র মেজ ভাই আলম ওরফে পাপ্পু আসানসোল উত্তর থানার রেলপারে রিলায়েন্স মার্কেটের কাছে ঝোপর পট্টিতে থাকে। তিনি বলেন, আমি অন্যদিনের মতো কাজে থাকার সময় এদিন চারটের সময় মেয়ের ফোন থেকে খবর পাই বাড়িতে কোন ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে এসে দেখি মা ও সেজভাই যে ঘরে থাকে সেটা বাইরে থেকে বন্ধ রয়েছে। বন্ধ দরজা খুলে দেখি ঘরের মধ্যে সেজভাই আফতাব আলম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর মা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে কিছুটা দূরে। বাড়ির অন্য সদস্যদের কাছ থেকে জানতে পারি মেজভাই মহঃ আলম ওরফে পাপ্পু মাকে ফল দেবার অজুহাতে বাড়িতে দুপুর তিনটে নাগাদ ঢোকে। তারপর সপ সেজভাই মহঃ আফতাব আলমের স্ত্রী ও মেয়েদের ঘরে বন্দী করে রেখে দেয়। তারপর সে আফতাব আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কাটে। পরে মাকে চৌবাচ্চাতে ডুবিয়ে মেরে ঘরের বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায়।


প্রতিবেশীদের সাহায্যে দুজনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, জানা গেছে, মা ও দাদাকে খুন করার পরে মহঃ আলম ওরফে পাপ্পু সরাসরি হিরাপুর থানাতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। সে থানায় ডিউটি অফিসারকে বলে আমি খুন করে এসেছি। আমার বাড়ি আজদনগরে৷ ততক্ষণে অবশ্য হিরাপুর থানায় ঘটনার খবর চলে আসে। তাকে থানায় আটকে রেখে পুলিশ এলাকায় পৌঁছায়।
সরবর আলমের কথায়, জমির ভাগাভাগি নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলো যে ভাই, তা বুঝতে পারিনি। এখন তা মনে হচ্ছে। তবে ভাবতে পারিনি ভাই এমন কান্ড ঘটাতে পারে।পরে ঘটনাস্থলে আসেন ডিসিপি (পশ্চিম) অভিষেক মুদি। (Asansol Double Murder) পুলিশ বাড়ির সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করে, মোটরসাইকেল নিয়ে শুধু কি একাই পাপ্পু এসেছিলো? না সঙ্গে কেউ ছিলো? কতক্ষণ সে ছিলো? প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, জমির ভাগাভাগির কারণে অসন্তুষ্ট হয়েই যুবক হয়তো এই কান্ড ঘটিয়েছে।
ডিসিপি (পশ্চিম) বলেন, তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঐ যুবক থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। প্রাথমিক ভাবে জমির ভাগাভাগি নিয়ে কিছু একটা ছিলো জানা গেছে। সবদিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Asansol : কয়লা কান্ডে ইসিএলের আধিকারিকের বাড়িতে CBI হানা

Leave a Reply