BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

Chittaranjan Rail Town টোকেন বিহীন কোনও গরু শহরে আর থাকতে পারবে না

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। চিত্তরঞ্জন সংরক্ষিত রেল শহরে (Chittaranjan Rail Town) আবাসনের পাশে বিভিন্ন খালি জায়গাগুলিতে প্রচুর সংখ্যক বেআইনি খাটাল গড়ে উঠেছে এবং সেইসঙ্গে দিনে রাতে শহরের প্রধান রাস্তা গুলিতে গরু এবং মহিষ থাকায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে  চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ  এবার সজাগ হয়েছেন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চিত্তরঞ্জনের রেল কারখানা ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এর স্বাক্ষরিত  সরকারি নির্দেশ নামা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান এবং শহরের বিভিন্ন ভাইস ওয়ার্ডেনদের কাছেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ।ওই নির্দেশনামায় বলা হয়েছে এখন থেকে চিত্তরঞ্জন শহরে কোন গরু,বাচ্চুর যদি কোন মাঠে চরে তাহলে অবশ্যই সেক্ষেত্রে তার গলায় রেলের দেওয়া টোকেন থাকতে হবে। টোকেন বিহীন কোনও গরু শহরে এর ফলে আর থাকতে পারবে না।

নির্দেশনামায় আরো বলা হয়েছে যেকোনো রেলকর্মী তার বাড়িতে একটি গরু এবং একটি মাত্র বাছুর রাখতে পারবেন এবং কোন রকম ভাবেই ব্যবসায়িক ভিত্তিতে কোনও পশু পোষা যাবে না। এবার কি করে এই একজন রেলকর্মী তার বাড়িতে একটি গরু এবং একটি মাত্র বাছুর রাখতে পারবেন সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রেলের তরফে বলা হয়েছে এ জন্য পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট এ আবেদন করতে হবে এবং বছরে ১০০ টাকা করে একটি গরু একটি১০০টাকা করে বাছুরের জন্য জমা দিতে হবে। তারপর সেখান থেকেই অনুমোদন দেয়া হবে এবং একটি করে টোকেন দেয়া হবে। এই তকেনগুলি গরু ও বাছুরের গলায় লাগাতে হবে। একমাত্র টোকেন বাধা গরুই শহরের নির্দিষ্ট যেসব ঘাসের মাঠ আছে সেখানে চড়তে পারবে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে কোন ভাবেই যদি সেই গরু রাস্তায় উঠে আসে ,বা বাড়ির সম্পত্তি অথবা সাধারণ মানুষের বাগানের ঢুকে কোনও ক্ষতি করে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গরুর মালিক রেলকর্মীকে রেলের নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে ।রাস্তাঘাটেও কোথাও  গোবর ফেলে রাখা চলবে না বলে নির্দেশনামায়য় বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে গরুর যিনি মালিক তাকে তার নিজস্ব যে রেল আবাসনের এলাকা সেখানকার নির্দিষ্ট জায়গায় গর্ত করে ওই গোবর মাটিচাপা দিতে হবে ।

এরপর হেলথ ইনস্পেক্টর বাড়ি বাড়ি গিয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং যাদের গরু পালন করার জন্য টোকেন দেয়া হয়েছে তারা এই সমস্ত নির্দেশ নামা মানছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ বা নিয়ম যদি না মানেন গরুর মালিক কোনও রেলকর্মী তাহলে তার বিরুদ্ধে রেলের আইন অনুযায়ী শাস্তিমুলক পদক্ষেপ নেবেন রেল কর্তৃপক্ষ।

 ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পঙ্কজ কুমার এই সময়কে বলেন ইতিমধ্যেই আমাদের পক্ষ থেকে শহরে এদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মাইকিং করা হয়েছে ।তা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু-মহিষ এখানে ঘাস খাওয়ানোর জন্য আনা হয় বলে শোনা যাচ্ছে ।আমরা সেটাও ধরার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছি ।যাদের উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এগুলো দেখভাল করার জন্য অবশ্যই তারা যেন ঘুরে ঘুরে দেখেন তাও ব্যবস্থা নেয়া হবে ।উল্লেখ করা যেতে পারে কিছুদিন আগেই চিত্তরঞ্জনের এক আরপিএফ কর্মী ভয়ংকরভাবে গরুর ধাক্কায় আহত হয়েছিলেন ।তার আগে বেশ কয়েকজন রেলকর্মী এবং সাধারণ মানুষও বারবার এই শহরে ওদের জন্য দুর্ঘটনায় পড়েছেন। এই প্রথম রেল এমন কড়া ব্যবস্থা নেওয়ায় চিত্তরঞ্জনের সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতারা অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন দেরিতে হলেও অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ।

জঙ্গলের আশেপাশে আতশবাজি না করার আবেদন বনদপ্তর আধিকারিকদের

আসানসোলে মাস্ক ছাড়াই স্টেশনে, কড়াকড়িতে টিকিট পরীক্ষকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ২০ জনকে জরিমানা

Leave a Reply