ASANSOL

আসানসোল পুর এলাকায় বেশীরভাগ হোর্ডিং অবৈধ, আদায় হয়েছে বকেয়া ৮৭ লক্ষ টাকা, অনিয়ম আটকাতেই নতুন করে টেন্ডার, বললেন পুর প্রশাসক

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৭ ডিসেম্বরঃ আসানসোল পুরনিগমের অধীনে থাকা আসানসোল শহর সহ পুর এলাকায় পার্কিং জোন ও হোডিং নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু হয়েছে। বকেয়া আদায় না করে দুই ক্ষেত্রেই নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শাসক দল ও আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি।

বেশীরভাগ হোর্ডিং অবৈধ


তারই পাল্টা হিসাবে বেশ কিছু তথ্য দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোল পুরনিগমে এক সাংবাদিক সম্মেলন জবাব দিলেন বর্তমান পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আসানসোল শহরে ৩২ টি হোর্ডিং ছাড়া সব বেআইনি। সেগুলোর কোন বৈধতা পুরনিগমের নেই। এর পাশাপাশি রানিগঞ্জ ও কুলটি পুর এলাকায় কোন হোর্ডিং বৈধ নয়। অমরবাবু সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এইসব হোর্ডিং সেই বাম জমানা থেকে রয়েছে। তারপর গত ১০ বছরে আমার দলের ক্ষমতায় আসানসোল পুরনিগম থাকলেও, কেন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তা বলতে পারবো না।

পার্কিং জোনের ক্ষেত্রেও এমন সমস্যা আছে। ২০১৬ সালে আসানসোল পুরনিগমের তরফে হোর্ডিং ও পার্কিং জোন নিয়ে শেষ বার টেন্ডার হয়েছিলো। তারপর আর টেন্ডার করা হয়নি। মাঝে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে টেন্ডারের এক্সটেনশন দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এবার নতুন করে টেন্ডার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হোর্ডিং ও পার্কিং জোনে পুরনিগমের বকেয়া রয়েছে ২ কোটি ২৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭২ টাকা। বিরোধীরা বকেয়ার পরিমান যা, বলছে তা ঠিক নয়। এছাড়াও, এই ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে আমি পুর প্রশাসকের দায়িত্ব পাই। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত ৮৭ লক্ষ টাকা বকেয়া আদায় করা হয়েছে।


পুর প্রশাসক বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, পার্কিং সংক্রান্ত নয়টি ফাইল দপ্তর থেকে হারিয়ে গেছে। তার তদন্ত করা হচ্ছে। পুর কমিশনারকে গোটা বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে থানায় এফআইআরও করা হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, এফআইআর করার ক্ষেত্রে যাদের দায়িত্বে ফাইলগুলি ছিল তাদের বিরুদ্ধেও থানায় অভিযোগ করা হবে। একই সঙ্গে যাদের কাছে পার্কিংয়ের জন্য টাকা বকেয়া পড়ে আছে তাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি তারা সেই টাকা না দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও থানায় অভিযোগ দায়ের করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হারিয়ে যাওয়া ফাইলগুলোর তথ্য পাওয়া গেলে, পার্কিং জোনের ক্ষেত্রে বকেয়ার পরিমান আরো বাড়তে পারে।


পুর প্রশাসক বলেন, হোর্ডিং ও পার্কিং জোন নিয়ে বিরোধী দলে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা দেওয়ার একটা চেষ্টা করছে। বিভ্রান্তি ছড়ানোরও চেষ্টা হচ্ছে। এদিন কিছু তথ্য ও পুরনিগমের সিদ্ধান্ত জানানো হলো। যাতে সবকিছু পরিষ্কার হয়।
প্রসঙ্গতঃ বিজেপি নেতার জিতেন্দ্র তিওয়ারি দিন কয়েক আগেই বকেয়া আদায় না করে নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করা নিয়ে আসানসোল পুরনিগমের সিদ্ধান্তর সমালোচনা করেছিলেন। যাদের বকেয়া রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে নতুন টেন্ডারে তিনি স্বজনপোষণের একটা পরিকল্পনা আছে বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন।

Asansol के नन्हें रिसान की उंची उड़ान, Asia बुक ऑफ रिकॉर्डस में दर्ज कराया नाम

Asansol डाक मेला 15 से भारती भवन में, डाकघरों में समस्या की सीधे करें शिकायत : एसएसपी सैय्यद फराज  हैदर नबी 

Leave a Reply