AMC POLLASANSOL

আসানসোল সহ চারটি কর্পোরেশনে নির্বাচন কি হবে ? ঝুলে থাকল সেই প্রশ্নের উত্তর

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: চারটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে চন্দননগর, আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি ২২ জানুয়ারি নির্বাচন কি আদেও হবে? মঙ্গলবার শুনানির সময় ঝুলে থাকল সেই প্রশ্নের উত্তর। যাইহোক, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ আজ রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞাসা করেছে যে এই চারটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে করোনার বর্তমান অবস্থা কী রয়েছে? কত মানুষ আক্রান্ত? এই পরিস্থিতিতে কমিশনের ভোটের পরিকাঠামো আছে কি? কয়টি কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে? কমিশনকে এসব প্রশ্নের বিস্তারিত জবাব দিতে হবে। এরপরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ জানুয়ারি। একই দিনে নির্বাচন কমিশনকে পুরো বিষয়টি আদালতে জানাতে হবে। প্রশ্নোত্তর পর্বে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, করোনা যেভাবে বাড়ছে সেক্ষেত্রে নির্বাচন বন্ধ করা উচিত। তিনি আদালতকে বলেন, “কমিশন বলেছে যে তারা নির্দেশিকা তৈরি করেছে। এই দায়িত্বের শেষ নেই। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা করার মতো পরিকাঠামো তাদের নেই। গঙ্গাসাগর মেলায় দেওয়া কঠোর নির্দেশের কথা উল্লেখ করে বলা যায়, মেলার সময় নির্ধারণ করা যেতে পারে। কিন্তু নির্বাচনে কোনো সমস্যা নেই।

কমিশনের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী জিষ্ণু সাহা বলেন, “নির্দেশিকা সংশোধন করা হয়েছে। যেখানে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্য যদি আরও গাইডলাইন চায়, তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কমিশন তখন প্রশ্ন করে, “সরকার কোনও লকডাউন করেনি। তাহলে ভোট বন্ধ হবে কেন?”

প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব প্রশ্ন করেন, কতজন প্রভাবিত হচ্ছেন তার হিসেব কি কমিশনের কাছে আছে? যেখানে চারটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে ভোট হচ্ছে সেখানে করোনার কী অবস্থা? প্রধান বিচারপতির আরও মন্তব্য, “নির্বাচন স্থগিত করার ক্ষমতা কমিশনের আছে। কমিশন কি স্বাধীনভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে?

কমিশনের আইনজীবী তখন বলেন যে তিনি এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আদালতকে জানাতে পারবেন। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তখন কমিশন এবং রাজ্যকে নির্দেশ দেয় যে চারটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা, সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি, আক্রান্তের সংখ্যা ইত্যাদি সম্পর্কে বিশদ তথ্য আদালতকে সরবরাহ করতে। আগামী ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

গত শুক্রবারের শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “কোন রাজনৈতিক দল ভোট চাইবে না। শুধুমাত্র সল্টলেকে ২৩ টি কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে। কমিশনকে এগিয়ে আসা উচিত এবং ভোট স্থগিত করা উচিত।” বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আরও প্রশ্ন করেন, “বিধাননগরে ২৩ টি কন্টেনমেন্ট এলাকা রয়েছে। এবার না প্রচারণা ভালো হচ্ছে না ভোটাররা বেরোতে পারছেন না। কিভাবে ভোট হবে? এই পরিস্থিতিতে ভোট কি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ?”
পরে কমিশন বলে, ” প্রাত্যহিক জীবন থেমে থাকে না। কমিশন শুধু বলতে পারে ভোট হলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।রাজ্যের তরফে এজি বলেন, “কমিশন চাইলে স্বাস্থ্য দফতর তাদের সাহায্য করবে।”

Leave a Reply