ASANSOL

আসানসোল জেলা হাসপাতালে রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক, মন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে কোভিড ওয়ার্ড নিয়ে আলোচনা

রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দীপ সেন , আসানসোল, ২০ জানুয়ারিঃ আসানসোল জেলা হাসপাতালের ( Asansol District Hospital) রোগী কল্যান সমিতির ( Rogi Kalyan Samiti) বৈঠকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোভিড ওয়ার্ডের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা হাসপাতালের মিটিং হলে হওয়া এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন রাজ্যের আইন ও পূর্ত মন্ত্রী তথা রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান মলয় ঘটক ( Moloy Ghatak)। এছাড়াও ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস, আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়, জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায়, আইএমএর আসানসোল শাখার সভাপতি ডাঃ শ্যামল সান্যাল হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সিং সুপার সহ অন্যান্যরা।

রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক


বৈঠকে মন্ত্রীকে কোভিড ওয়ার্ড নিয়ে বিস্তারিত তথ্য ও বর্তমানে কি পরিকাঠামো আছে তা বিস্তারিত বলা হয়। জেলা হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে ২০০ বেড করার কথা বলা আছে। তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধাপে ধাপে করার কথা। এই মুহুর্তে ১০০ বেড প্রস্তুত রয়েছে। যার মধ্যে বড়দের ১৪ টি ও শিশুদের ২০ টি বেড সিসিইউ সুবিধা সহ। চিকিৎসায় নজরদারির জন্য ৪ জনের একটি মনিটারিং কমিটি রয়েছে। সেই কমিটি সময়ে সময়ে ওয়ার্ড পরিদর্শন করে থাকে। এই মুহুর্তে গড়ে প্রতিদিন কোভিড ওয়ার্ডে ১৫ থেকে ২০ জন করে রোগী ভর্তি হচ্ছেন।

মন্ত্রীকে বলা হয়েছে, বাইরে থেকে কোন করোনা আক্রান্ত রোগী বর্তমানে জেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। যারা হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের পরীক্ষা করে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। তাদেরকেই কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হচ্ছে। সম্প্রতি, বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলো। মন্ত্রীকে বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশীরভাগের কো-মর্বিডিটি বা অন্য রোগ ছিলো। যদিও, চিকিৎসায় আরো নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সব শুনে মন্ত্রী কোভিড ওয়ার্ড নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।


এছাড়াও এদিন রোগী কল্যান সমিতির বৈঠকে জেলা হাসপাতালের দুটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট, বিউটিফিকেশন, হাসপাতাল চত্বরে জবরদখল সরানো, বাইরের গাড়ি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিছু বিভাগে আরো চিকিৎসকের প্রয়োজন আছে বলে মন্ত্রীকে বলা হয়েছে। বৈঠকের শেষে সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস বলেন, কোভিড ওয়ার্ড সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক হয়েছিলো। ২০২১ সালে করোনা, বিধান সভা নির্বাচন সহ নানা কারনে বৈঠক হয়নি।

Leave a Reply