KULTI-BARAKAR

বরাকর সেতুতে ব্যবসায়ীর ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই

তদন্তে ঝাড়খণ্ডের চিরকুন্ডা থানার পুলিশ

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ৩১ জানুয়ারিঃ বার্নপুরে জুয়েলারি দোকানে ডাকাতির প্রায় একই সময় আসানসোলের কুলটি থানার বরাকরের এক ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীর ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলো। ঝাড়খণ্ডের চিরকুন্ডার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা দিতে যাওয়ার সময় সোমবার দুপুরে বরাকর সেতুর উপরে এই টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি হয়। খবর পেয়ে চিরকুন্ডা থানার পুলিশ এলাকায় ছুটে আসে। তারা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গোটা ঘটনাটি শুনে তদন্তে নামে।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরাকরের স্টেশন রোডের ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী সনু ডালমিয়া ও তার দোকানের কর্মী গোপাল প্রসাদ মোটরবাইকে করে সোমবার দুপুরে সাড়ে বারোটা নাগাদ বরাকর সেতু দিয়ে যাচ্ছিলেন চিরকুন্ডার একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেতুর উপরে যেখানে বাংলার সীমানা শেষ ও ঝাড়খন্ড শুরু হয়েছে সেই জায়গাতেই বরাকরের দিক থেকেই তাদের পিছনে পিছনে আসা আর একটি বাইকে থাকা তিন জন দুষ্কৃতি তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়।

ব্যবসায়ী ও তার কর্মী কিছু বুঝে উঠার আগেই তাদের কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনতাই করার চেষ্টা করে। সনু ডালমিয়া ও গোপাল প্রসাদ বাধা দেন । এরপর গোপাল প্রসাদকে মারধর শুরু করে ও সনু ডালমিয়ার কাছ থেকে টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয় । ইতিমধ্যে আরো একটি বাইকে একজন সেখানে আসে। এরপর দুটি বাইকে করে তারা পালিয়ে চলে যায়।

ঘটনাস্থল বাংলা ঝাড়খন্ড সীমানায় হওয়ায় খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে চিরকুন্ডা থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র কুমার ছুটে আসেন। পুলিশ জানায়, যাদের ছিনতাই হয়েছে তাদের বরাকর থেকেই অনুসরণ করেছিল ছিনতাইকারীরা। ছিনতাইকারীদের বাইক তাদের পিছনে পিছনে আসছিল। ছিনতাইয়ের পরেও তারা আবার ওই রাস্তা দিয়েই পালিয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।


গোপাল প্রসাদ বলেন, দূষ্কৃতিদের হাতে কোন আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। কিন্তু বারবার বলছিল বাইকে রিভলবার আছে নিয়ে আসার জন্য। তারা সংখ্যায় বেশি থাকায় আমরা তেমনভাবে কিছু করতে পারিনি। প্রায়ই এইভাবে টাকা নিয়ে তারা সেতু পেরিয়ে চিরকুন্ডার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা দেন । এদিনও সেইভাবেই টাকা জমা দিতে যাবার পথে এমন ঘটনা ঘটলো।

Leave a Reply