ASANSOL-BURNPURKULTI-BARAKAR

একদিনে চারটি সভা, পাশে থাকার বার্তা শত্রুঘ্ন সিনহার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে প্রার্থী করে পাঠিয়েছেন

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২২ মার্চঃ একদিনে চারটি সভা করলেন আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। বুধবার সকালে পাণ্ডবেশ্বর ও লাউদোহায় জোড়া নির্বাচনী প্রচার সভার সারেন তৃণমূল প্রার্থী। পরে বিকেলে ও সন্ধ্যায় আরো দুটি সভা করেন কুলটি বিধানসভা চিনাকুড়ি ও বারাবনি বিধান সভার সালানপুরের রুপনারায়নপুরে বলিউড তারকা। সব সভা থেকেই তিনি তাকে প্রার্থী করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃনমুল কংগ্রেসের সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এদিন প্রথম সভাটি হয় পাণ্ডবেশ্বরের এরিয়া অফিস কমিউনিটি হলে ও দ্বিতীয় সভাটি লাউদোহার পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন মাঠে । প্রার্থী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি বিধান উপাধ্যায়, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা ।


এই দুটি সভায় বক্তৃতার শুরুতেই তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, মমতা দিদির নির্দেশ আর বাংলার মানুষের ডাকে আমি আসানসোল উপ নির্বাচনে লড়তে নেমেছি । দিদি যখন বলল তোমাকে ভোটে লড়তে হবে আমি না করতে পারিনি । কারণ দিদি এই মুহূর্তে দেশের শুধু জনপ্রিয় নেত্রী নন, তিনি এই মুহূর্তে বিশ্বের জনপ্রিয় নেত্রী, তিনি আগামী দিনের ভাবী প্রধানমন্ত্রীও । বহিরাগত প্রসঙ্গে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, বিরোধীরা আমাকে বহিরাগত বলছে । তারা জানে না এই বাংলার সঙ্গে আমার আত্মার যোগ রয়েছে । আমার ফিল্মি ক্যারিয়ার শুরু হয় এই বাংলা থেকেই । মৃনাল সেন আমাকে সিনেমার জন্য নির্বাচিত করেন। সিনেমায় কিভাবে অভিনয় করতে হয় তা আমাকে শিখিয়েছেন ঋত্বিক ঘটক । তখন থেকেই বাংলার কাছে আমি ঋণী । বাংলা, বাঙালি, বাংলা ভাষা, বাংলার খাবার সব কিছুর প্রতি আমার দুর্বলতা বরাবরের।

আমি বহিরাগত হলে, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বহিরাগত । কারণ তিনি গুজরাটের বাসিন্দা হয়েও ভোটে লড়েন উত্তরপ্রদেশ থেকে। আসানসোল থেকে আমি রেকর্ড ভোটে জিতবো ও একটা ইতিহাস তৈরী করবো । সংসদে গিয়ে বাংলা আর আসানসোলের মানুষের জন্য কথা বলবো।
এদিন সন্ধ্যায় রুপনারায়নপুরের সভায় শাসক দলের প্রার্থী বলেন, সিবিআই, ইডি ও আয়কর দপ্তরের ভরসায় কেন্দ্র সরকার চলছে। এই মুহুর্তে দেশের বিকল্প হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরো বলেন, আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। কিন্তু বিজেপির নেতারা এখনো পর্যন্ত আমার নামে কোন দূর্নীতি করেছি বলতে পারেননি। এই সভায় রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক ও সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় রুপনারায়নপুরের হিন্দুস্তান কেবলস্ ও বার্ণপুরের বার্ণস্ট্যান্ডার্ড কারখানা বন্ধ করা নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমন করেন।

সালানপুর ব্লকের রূপনারায়নপুরে নির্বাচনী সভা সারলেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা

কাজল মিত্র :-আসানসোল লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা হবার পরথেকেই প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের প্রচার নিজের মত করে করতে শুরু করে দিয়েছে ।প্রচারে কেও একচুল পিছিয়ে নেই ।প্রতিদিনের মত বুধবার সালানপুর ব্লকের রূপনারায়নপুরে নির্বাচনী প্রচার এর পাশাপাশি কর্মী সভার সারলেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা।
এদিন এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয় হিন্দুস্থান কেবলস এর শ্রমিক মঞ্চ সংলগ্ন মাঠে ।প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী মলয় ঘটক,আসানসোল মেয়র তথা বারাবনি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়,যুবনেতা মুকুল উপাধ্যায় ,সালানপুর ব্লক সভাপতি ফাল্গুনী ঘাসি,জেলাপরিষদ এর করমাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান , সালানপুর ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং
সহ অন্যান্যরা ।


বক্তৃতার শুরুতেই তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন মমতা দিদির নির্দেশ আর বাংলার মানুষের ডাকে আমি আসানসোল উপ নির্বাচনে লড়তে নেমেছি।দিদি যখন বলল তোমাকে ভোটে লড়তে হবে আমি না করতে পারিনি । কারণ দিদি এই মুহূর্তে দেশের শুধু জনপ্রিয় নেত্রী নন,তিনি এই মুহূর্তে বিশ্বের জনপ্রিয় নেত্রী, তিনি আগামী দিনের ভাবী প্রধানমন্ত্রীও।বহিরাগত প্রসঙ্গে শত্রুঘন সিনহা জানান বিরোধীরা আমাকে বহিরাগত বলছে।তারা জানে না এই বাংলার সঙ্গে আমার আত্মার যোগ রয়েছে ।আমার ফিল্মি ক্যারিয়ার শুরু হয় এই বাংলা থেকেই। মৃনাল সেন আমাকে সিনেমার জন্য নির্বাচিত করেন। সিনেমায় কিভাবে অভিনয় করতে হয় তা আমাকে শিখিয়েছেন ঋত্বিক ঘটক ।

তখন থেকেই বাংলার কাছে আমি ঋণী।বাংলা, বাঙালি, বাংলা ভাষা, বাংলার খাবার সব কিছুর প্রতি আমার দুর্বলতা বরাবরের।তিনি বলেন আমি বহিরাগত নয় বহিরাগত দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কারণ তিনি গুজরাটের বাসিন্দা হয়েও ভোটের লড়েন উত্তর প্রদেশ থেকে।বলেন এখান থেকে আমি রেকর্ড ভোটে জিতবো । সংসদে গিয়ে বাংলা আর আসানসোলের মানুষের জন্য কাজ করবো।
একই সাথে এই কর্মী সভায় শতাধিক মানুষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন

Leave a Reply