ASANSOL

এবার রেল হাসপাতালগুলো বেসরকারিকরণের পথেই এগোল ভারতীয় রেল

রেলের সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠন গুলি এর বিরোধিতায় আন্দোলনে নামবে

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। ভারতীয় রেল একের পর এক ট্রেনিং এবং বেশকিছু রেলস্টেশন বেসরকারিকরণের পর এবার রেল হাসপাতাল গুলির পিপিপি মডেল বেসরকারিকরণের পথে এগুলো। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন  রেলের সর্বভারতীয় স্বীকৃত সংগঠনগুলি । প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলন করার কথা তারা জানিয়েছেন।

मंडल रेल हॉस्पिटल

সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে রেল পর্ষদের এক্সকাটিভ ডিরেক্টর (হেলথ) ডক্টর কে শ্রীধর রেলের সমস্ত প্রিন্সিপাল  চিফ অফ মেডিকেল ডিরেক্টরদের কাছে গত ৭ এপ্রিল একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এই চিঠিতে বলা হয়েছে পিপিপি মডেলে রেল হাসপাতালগুলো নিয়ে যাওয়ার ভাবনায় বেশকিছু তথ্য শ উত্তর আগামী ১৯ শে এপ্রিল এর মধ্যে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে। এই তথ্য গুলির মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে বর্তমানে সংশ্লিষ্ট  রেল হাসপাতাল এলাকা শয্যা সংখ্যা এবং স্কয়ার মিটার কতটা জায়গা আছে ।নতুন কোনও ভবন নির্মাণ হচ্ছে কিনা। এছাড়া গত বছরে কত খরচ হয়েছে বিভিন্ন রোগীকে অন্যান্য হাসপাতলে রেফার করার জন্য ।তাছাড়া আলাদা আলাদা করে বিভিন্ন বিভাগীয় দপ্তর  যেমন ক্যান্সার দপ্তর ,প্যাথলজি দপ্তর সহ চিকিৎসা বাবদ কত খরচ হয়েছে ।

অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে ফেডারেশানের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শিউ গোপাল মিস্র জানান তারা দুদিন ধরে সোমবার থেকে   উজ্জয়িনীতে সর্বভারতীয় সম্মেলন করছেন। সেখানে জরুরী ভিত্তিতে এই বিষয়ে প্রস্তাব নেওয়া হবে ।ইতিমধ্যেই তারা আজই রেলপর্যদ কে  এর বিরোধিতা করে চিঠিও দিয়েছেন। উজ্জয়িনীর সম্মেলন শেষে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানের  গিয়ে  এই নিয়ে কথা বলবেন।প্রতিবাদ জানাবেন।আমাদের সম্মেলন থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এটা প্রত্যাহার করতে হবে।  তা না হলে তারা দেশজুড়ে বড় আন্দোলনে যাবেন।

অন্যদিকে ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান রেলওয়ে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক গুমন সিং বলেন আমরা এটা জানার পরে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ জানিয়েছি ।এতে শুধু রেল কর্মীদের ক্ষতি হবে তাই নয় ভারত সরকারের রেলখাত থেকে অনেক বেশি অর্থ ছিনিয়ে নেবে যারা পিপিপি মডেল এসব হাসপাতালগুলোর দায়িত্ব পাবে ।আমরা বহুদিন ধরেই বলছি  আমাদের যে   যে রেলহাসপাতালগুলি আছে সেখানে বিশেষ ধরনের চিকিৎসক এনে চিকিৎসার  ব্যবস্থা করা উচিত।এতে রেফারেন্স রোগীর  সংখ্যা অনেক কমে যাবে এবং উপকৃত হবেন রেল কর্মীর পরিবার। অসলে মোদি সরকার ভারতবর্ষের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প গুলি এখন বিক্রি করছেন। তেমনি সরকারি যা কিছু আছে সেগুলো বিক্রি করে দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। ইতিমধ্যেই রিলিক্স প্রচুর দপ্তর বেসরকারিকরণ করা হয়েছে। 

পূর্ব রেলের  ই আর এম ইউয়ের ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন আমাদের পূর্ব রেলে এমন ৮টি হাসপাতাল আছে।আমরা ইতিমধ্যেই  রেলের এই বিষয়ের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব বিষয়টি দেখছে। বিবেক দেবরায় কমিটির সুপারিশ ছিল সেটা মেনে এটা করা হচ্ছে। চিত্তরঞ্জনের রেল শহরের আই এন টি ইউ সির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং এবং  সিটুর সাধারণ সম্পাদক রাজিব গুপ্ত বলেন  এই চিঠি চিত্তরঞ্জনের চিফ মেডিকেল সুপারের দপ্তরেও এসে পৌঁছেছে। আমরা কিছুতেই এটা মানবো না। এর জন্য যত বড় আন্দোলনে যেতে হয় আমরা যাব। অন্যদিকে আসানসোল রেল হাসপাতালের মেডিকেল সুপার মনোরঞ্জন মাহাতো বলেন আমাদের কাছে ওই নির্দেশ এসে পৌঁছেছে এবং আমরা আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই এর জবাব পাঠিয়ে দেবো। আসানসোল রেল হাসপাতালের ২০০ শয্যা এবং আমাদের ডিভিসনের অন্ডাল রেল হাসপাতালের ৩৫ শয্যা আছে। প্রতিদিন আমাদের আউটডোরে দু’শোর বেশি রুগি আসেন ।

Leave a Reply