RANIGANJ-JAMURIA

গরম থেকে বাঁচার সমস্ত সামগ্রীর দাম আগুন ছোঁয়া

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী রানীগঞ্জ : দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক তাপপ্রবাহ, নাভিশ্বাস খনি অঞ্চল শিল্পাঞ্চলের মানুষজনের। এমনিতেই খনি অঞ্চল এলাকা হওয়াতে রানীগঞ্জ অঞ্চল প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে থাকে। আর এই প্রবল তাপপ্রবাহে পারদ চড়ছে অনেকটাই । হাঁসফাঁস করা এই গরমে তাই অল্প একটু স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে মানুষজন খুঁজে নিচ্ছে গরম থেকে বাঁচার জন্য পছন্দ মতন সামগ্রী, কালো চশমা থেকে শুরু করে টুপির চাহিদা যেমন বেড়েছে । তেমনি ভাবে বেড়ে চলেছে মাটির কুঁজো, জলীয় অংশ বেশি রয়েছে সে রকম বিভিন্ন শাক সবজি থেকে শুরু করে, তরমুজ, ডাব, শসা, সহ বিভিন্ন ফলের চাহিদা রয়েছে প্রচন্ড এই গরমে ।এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ চড়েছিলো ৪২ ডিগ্রির উপরে। তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে তাপপ্রবাহে বাড়ি থেকে বের হওয়া প্রায় বন্ধ করেছে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ মানুষ। বেলা বাড়ার আগেভাগেই মানুষ সকাল দশ টার ও পরে বিকেল চারটের থেকে হাট বাজার করার কাজ সেরে নিচ্ছেন। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত গরম বাড়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আসানসোল সহ কয়লা অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে ও অন্যান্য জেলায় তাপমাত্রা বর্তমানে স্বাভাবিকের থেকে প্রায় পাঁচ ডিগ্রি বেশি লক্ষ্য করা যায়।


তবে এর সাথেই গরম থেকে বাঁচার সমস্ত সামগ্রীর দাম আগুন ছোঁয়া মূল্যে বৃদ্ধির কারণে অনেকটাই চড়া হয়েছে। এদিন ডাব 50 থেকে 60 টাকা দামে বিক্রি হয়, সেখানেই তরমুজ 25 টাকা কেজি দরে, শসা 40 টাকা, মৌসম্বি 100 টাকা, আঙ্গুর 100 থেকে 140 টাকা, আপেল 160 টাকা, খরমুজ 80 টাকা, গোলাপখাস আম 180 থেকে 200 টাকা, বেগুন ফুলিয়া আম 100 টাকা, কিউই 30 টাকা পিসি, 300 টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানেই বেদানা 180 ও সিঙ্গাপুরি কলা 50 টাকা, কাকুরী 50 টাকা, আখের রস 15 টাকা থেকে শুরু করে 30 টাকা পর্যন্ত গ্লাসে বিক্রি হচ্ছে। বিগত দুই বছর ধরে করোনার দাপট লক্ষ্য করে এবার অনেকেই মাটির হাড়ি জল খাওয়ার জন্য বাজার থেকে দেদার মাটির হাড়ি সংগ্রহ করছে , মূলত তিন ধরনের মাটির হাড়ি বেশিরভাগ ক্রেতাই খরিদ করছে, যার মধ্যে পাঁচ থেকে সাত লিটার জল থাকার মাটির হাড়ি বিকোচ্ছে 60 টাকা দরে, সেখানে 12 লিটার এর মাটির হাড়ি বিক্রি হচ্ছে 70 টাকা দরে,ও কুড়ি লিটার পর্যন্ত জল রাখার মাটির হাড়ি বিক্রি হচ্ছে 85 টাকা দরে। একই সাথে কল লাগিয়ে মাটির হাড়ি বিক্রি হচ্ছে প্রায় দেড়শ টাকা দরে, যা কিনতে দেদার খদ্দের ভিড় জমাচ্ছে মাটির হাড়ির দোকানে। একসাথেই ফ্যানের বিক্রির বহর বেড়েছে এবারে, বারোশো থেকে শুরু করে 25শো টাকার সিলিং ফ্যান আর পনেরশো থেকে 3000 টাকা পর্যন্ত টেবিল ফ্যান বিক্রি দেখা গেছে, তবে এসব কে ছাড়িয়ে হাই স্পিড ফ্যান এর চাহিদা রয়েছে যথেষ্ট, যা এগারোশো থেকে 2000 টাকার রেঞ্জে খরিদ করছে ক্রেতারা।

বিগত দু বছরে এসি চালানোর বহর কিছুটা কম থাকলেও এবারে এসির বিক্রি বেড়েছে খনি অঞ্চলের বাজারে, মূলত এক থেকে দেড় টন এসি বেশি বিক্রি হচ্ছে, আর তার দাম 29,000 থেকে শুরু করে 55 হাজার টাকা পর্যন্ত রেঞ্জে রয়েছে। একই সাথে এই ফ্রিজের বিক্রি বেড়েছে এবার, সাড়ে নয় হাজার টাকা থেকে শুরু করে 90,000 টাকা পর্যন্ত মূল্যের ফ্রিজ এবার বিক্রি করতে দেখা গেছে। এর পাশাপাশি অনেকেই এই প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচার জন্য কিনে নিচ্ছেন আধুনিক মডেলের ওয়াটার কুলার। এককথায় গরম বাড়ার সাথে সাথেই গরমকে কিভাবে দমিয়ে রাখা যায়, অল্প একটু স্বস্তি কিভাবে মিলবে তার লক্ষ্যে দেদার কেনাকাটা করছেন খনি অঞ্চলের মানুষ।

Leave a Reply