ASANSOL

বারাবনির কয়লা পাচার মামলা, বারিক বিশ্বাসকে হেফাজতে নিলো সিআইডি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ২০১৪ সালে সোনা পাচার ও ২০২১ সালে গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আব্দুল বারিক বিশ্বাসকে এবার আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বারাবনি থানার কয়লা পাচার মামলায় সিআইডি সোমবার নিজেদের হেফাজতে নিল। গত ২৯ জুলাই কলকাতার নিউটাউন থেকে বারিক বিশ্বাসকে রাজ্য পুলিশের সিআইডি গ্রেফতার করেছিলো জামুরিয়া কয়লা পাচারের একটি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে। সেদিন তাকে আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন নাকচ করে দশ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই হেফাজতের মেয়াদ সোমবার শেষ হলে তাকে এদিন আসানসোল আদালতে তোলা হয়। এদিন আসানসোলের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তার জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী শেখর কুন্ডু ও সোমনাথ চট্টরাজ। সওয়াল-জবাব শোনার পরে বিচারক তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। আগামী ১৬ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।


এদিকে এদিনই সিআইডি তদন্তকারী অফিসারের পক্ষ থেকে আইনজীবী ২০১৯ সালে বারাবনি থানার চরনপুর রেল সাইডিং থেকে কয়লা উদ্ধার হওয়ার একটি মামলায় তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে সিআইডি ১৪ দিনের হেফাজত চায়। বিচারক দুপক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শোনার পর বারিক বিশ্বাসকে আট দিনের জন্য সিআইডির হেফাজতের নির্দেশ দেন।


বারাবনির বেআইনী কয়লা উদ্ধারের মামলায় বারিকের আইনজীবী শেখর কুন্ডু ও সোমনাথ চট্টরাজ প্রশ্ন তুলে বলেন, ২০১৯ সালে এই কয়লা উদ্ধার হয়েছিল । কাগজে কলমে তখন তার পরিমাণ ছিল হাজার মেট্রিক টন। হঠাৎ করে সেটা বেড়ে ১৮১৭ টন সিআইডির খাতায় তা এতদিন পর চলে এলো কি করে? এছাড়াও দুই আইনজীবী বলেন, তিন বছর ধরে এই কেসে তদন্ত না করে হঠাৎ এমন কি হলো যে এখন একের পর এক অন্য কয়লা মামলার আসামিদের এই মামলায় যুক্ত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় বলা হচ্ছে যে কয়লা পাচার হয়েছিল বারাবনিতে, সেখানে তার গাড়িও ব্যবহার করা হয়েছে। সিআইডি সূত্র থেকে জানা যায়, যখন ঐ কয়লা ইসিএলের পক্ষ থেকে আটক করে পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল প্রায় এক হাজার টন। কিন্তু পরে যখন যন্ত্র দিয়ে তা মাপা হয়। তখন দেখা যায় কয়লার পরিমান ১৮১৭ টন।


অন্যদিকে, এই মামলার সরকারি আইনজীবী মনোজ সিনহা বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি যা কিছু জেনেছে তার ভিত্তিতেই বারিক বিশ্বাসকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা তাও জানা যাবে। এরপরেই বিচারক অভিষেক মান্না তার ৮ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১৬ আগষ্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রয়েছে।

Leave a Reply