ASANSOL

আসানসোলে বুধাগ্রাম দেশপ্রেমিক ক্লাবের কালীপুজোর খুঁটি পুজো

উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি তথা ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: ফের উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হল আসানসোলে। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মী পুজোর শেষে এবার প্রস্তুতি শুরু হল কালী পুজোর। শ্যামা বন্দনার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন উদ্যোক্তারা। খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে সূচনা হলো আসানসোল শহরের গড়াই রোড সংলগ্ন বুধাগ্রাম দেশপ্রেমিক ক্লাবের সার্বজনীন কালীপুজো। উল্লেখযোগ্যভাবে খুঁটি পূজোয় উপস্থিত ছিলেন দেশপ্রেমিক ক্লাবের সভাপতি তথা আসানসোল মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র এবং জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি অভিজিৎ  ঘটক। খুঁটি পুজোর পরেই এই ব্যাপারে বেঙ্গল মিররকে অভিজিৎ ঘটক বলেন যে, “এ বছর ক্লাবের ৩৮ তম কালীপুজোর উদ্বোধন হলো। ঐতিহ্যমন্ডিত পুজো এই দেশপ্রেমিক ক্লাবের। পুজোর পাশাপাশি মেলাও বসে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিগত দুবছর মানুষ সেভাবে কোনো পুজোই উপভোগ করতে পারেননি। এবার তাই মানুষের মনে পূজোকে কেন্দ্র করে বাড়তি আনন্দ। এছাড়া এই পুজোর বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে।প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এই পুজোয়। প্রত্যেকেই ভালোভাবে শ্যামা মায়ের পুজোতে আনন্দে মেতে উঠুন।  প্রশাসন এবং আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে।”

এদিকে ক্লাবের অন্যতম সদস্য সমরেশ হাজরা, মনোজ রায় , শ্রীমন্ত দাঁ ও সৌরভ দাঁ বলেন যে, “আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বর্তমান একটু বেশি বাজেটের কালীপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম দেশপ্রেমিক ক্লাবের পুজো। এই বছর দেশপ্রেমিক ক্লাবের পুজো ৩৮ বছরের। কালিপুজো ২৪ শে অক্টোবর শুরু হচ্ছে এবং ২ রা নভেম্বর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে। বাজেট রয়েছে আনুমানিক ১২ থেকে ১৪ লক্ষ টাকার মত। এবার মূর্তির একটি অভিনব থিম করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। তিন ধাপে অর্থাৎ একদম নিচে কালিঘাট , মাঝে তারাপীঠ এবং সবার উপরে দক্ষিণেশ্বর এই তিন আদলে রূপ দেওয়া হবে মূর্তিকে। মূর্তি প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট উচ্চতার হবে। ছোট মূর্তিটি যেটি মূলত পূজিত হবে সেটি বিসর্জন করা হবে এবং বড় মূর্তিটি পাম্পের সাহায্যে মাঠেই নিরঞ্জন করা হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও যথেষ্ট সহযোগিতা করা হয়।অভিজিৎ ঘটক ছাড়াও সঙ্গে বিশেষ করে উপস্থিত থাকেন  এলাকা সংলগ্ন ৪৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা আসানসোল কর্পোরেশনের এমএমআইসি গুরুদাস চ্যাটার্জি ওরফে রকেট। মেলা এবং সাংস্কৃতিক উৎসবের দিক থেকে চমক থাকছে এবারের পুজোয়।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসানসোল শহরের পুরনো সার্বজনীন কালীপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম বুধা দেশপ্রেমিক ক্লাব। শুধু আসানসোল নয়, আশেপাশের অঞ্চল থেকে  বহু দর্শনার্থী আসেন এই পুজো দেখতে। প্রতিবছর মুম্বাইয়ের সিনেমা জগতের অভিনেতা অভিনেত্রীরা আসেন এই পুজোয়। এই বছর চলচ্চিত্র অভিনেতা তথা সাংসদ “দেব” অর্থাৎ “দীপক অধিকারী” আসার কথা রয়েছে শেষ দিনের সাংস্কৃতিক উৎসবে। জেলায় থিম নির্ভর কালীপুজো গুলির মধ্যে অন্যতম এই দেশপ্রেমিক ক্লাবের পুজো। তাই সংলগ্ন বুধা গ্রাম থেকে শুরু করে আসানসোল গ্রাম এবং শিল্পাঞ্চলের অন্যান্য বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে এই পুজোকে কেন্দ্র করে বাড়তি উৎসাহ। খুঁটিপুজোর সময় আসানসোল কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটকের পাশপাশি উপস্থিত ছিলেন অচিন্ত্য দাঁ, সমরেশ হাজরা, শ্রীমন্ত দাঁ, বাবাই দাঁ, মনোজ রায় প্রমুখ।

Leave a Reply