ASANSOL

কয়লা পাচার মামলা : চার্জশিটে নাম থাকা আরো ৬ ব্যবসায়ীকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিলো সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা আরো ৬ কয়লা ব্যবসায়ী। এর আগেই গত শনিবার এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ আরো ছয় ব্যবসায়ীও আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন।
কয়লা চুরি ও কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই তদন্তে প্রথম যে চার্জশিট আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জমা দিয়েছে তাতে ৪১ জনের নাম ছিল। এই ৪১ জনের মধ্যে অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ১৫ জন কয়লা ব্যবসায়ী বা কয়লা খননকারী ও পাচারকারীর নাম ছিল।


ঐ চার্জশিটের ভিত্তিতেই নাম থাকা সবাইকে সমন করা হয়। বৃহস্পতিবার নতুন করে আসানসোলের বিশেষ সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ঐ ১৫ জনের মধ্যে থাকা আরো ৬ জন আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজিরা দেন। তারা হলেন প্রিয়ব্রত চক্রবর্তী, বিকাশ চন্দ্র গড়াই, শেখ সদর উদ্দিন , শামসের হোসেন, রাজেশ বাগারিয়া ও রাজেশ সিং। তাদের মধ্যে চারজনের আইনজীবী শেখর কুন্ডু আদালতে সওয়াল করার সময় বলেন, এরা কেউই সরকারি কর্মী নয়। তা ছাড়াও কয়েকদিন আগেই এই চার্জশিটে নাম থাকা আরো কয়েকজন অভিযুক্তকে আদালত জামিন দিয়েছে। এদেরকে সিবিআই আগেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারা হাজিরা দিয়েছেন। আগামীদিনে ডাকলে তারা আবারও জিজ্ঞাসাবাদের সময় হাজির হবেন। সিবিআইয়ের পক্ষে আইনজীবী রাকেশ কুমার তাদের জামিনের বিরোধিতা করেন।

যদিও বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সওয়াল-জবাব শেষে তাদের শর্তসাপেক্ষে জমিন মঞ্জুর করেন।
আইনজীবী শেখর কুন্ডু পরে বলেন, শর্তগুলির মধ্যে বলা আছে এরা পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। সিবিআই ডাকলে তাদের হাজিরা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে। এ ছাড়াও অবৈধ কোন কয়লার ব্যবসার সঙ্গে এরা যুক্ত থাকতে পারবে না। চার্জশেটি নাম থাকা ১৫ জন কয়লা খননকারী বা কয়লা পাচারকারীদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত ১২ জন জামিন পেলেন।
এর আগেই যে ৬ জন জামিন পেয়েছিলেন তারা হলেন পরমেন্দ্র কুমার সাউ, ধর্মেন্দ্র কুমার সাউ, সাজিস খান ,চন্ডী বাউরী, দীপক ধীবর ও চন্দন বর্মন।


প্রসঙ্গতঃ, এই মামলাতে অনুপ মাঝি ওরফে লালা সুপ্রিম কোর্টের রক্ষা কবচে থাকায় এখনো তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই মামলাতেই জয়দেব মন্ডল, গুরুপদ মাঝি, নিরোদ বরন মন্ডল এবং নারায়ন খরকা গ্রেপ্তার হওয়ার পর বর্তমানে জামিনে আছেন। এছাড়াও ই সি এল এর ৮ আধিকারিক এখনো পর্যন্ত এই মামলাতেই জেল হেফাজতে রয়েছেন।

Leave a Reply