BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

সালানপুর ব্লকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- সালানপুর ব্লকের আছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষকে আরো উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এর হারিসডি গ্রাম ঢোকার মুখেই যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি রয়েছে সেটিকে আরো উন্নত মানের করে গড়ে তোলা হল । যার শুভ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস খান ।তিনি নিজে ফিতা কেটে নকেকেল ফাটিয়ে এই নতুন নির্মিয়মান “আছড়া সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের”ভবনটির উদঘাটন করেন।


আজ থেকেই শুরু হল সমস্ত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসার সুব্যবস্থা। রূপনারায়নপুর থেকে ভায়া সামডি হয়ে আসানসোল যাবার হরিষাড়ি গ্রাম ঢোকার মুখেই রয়েছে এই আধুনিক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। আগের মতই এখানে গর্ভবতী মা ও শিশুদের টিকাকরণ সহ যাবতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এখন থেকে এই পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত মানুষের জন্য চোখ কান নাক, সুগার, রক্তচাপ, ক্যান্সার নির্ণয়ের মতো বিষয় – এমনকি মানসিক রোগেরও প্রাথমিক চিকিৎসা করা হবে। এজন্য সোম থেকে শুক্র প্রতিদিন সকাল সাড়ে ন’টা থেকে বেলা তিনটে চারটে পর্যন্ত খোলা থাকবে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ।এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
কমিউনিটি হেলথ অফিসার এর দায়িত্বে রয়েছেন সুপ্রিয়া দত্ত তাছাড়া আরো দুই সহযোগী চিকিৎসক রয়েছেন বাণী চ্যাটার্জি ও সংহিতা বোস।


পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস খান জানিয়েছেন সারা পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রতিটি ব্লকের সকল পঞ্চায়েতের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিতে এই ব্যাবস্থা করা হচ্ছে ।যেসকল ছোট স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি ছিল সেগুলি আলাদা রুম বাথরুম ও চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করা হচ্ছে ।
তবে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর ব্লকে এই প্রথম গড়ে তোলা হল । তবে ইতিমধ্যেই আরো ৯ জায়গায় নতুন বিল্ডিং হয়েছে, এবং আরও ১৬ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে ।


যেসকল স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি পড়েরয়েছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করে তিনি বলেন সালানপুর ব্লকের দু’টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ছাড়া অন্যান্য উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে দ্রুত কার্যকরী করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মেলেকলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আদৌ ব্যবহার করা যাবে কিনা তা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। এদিনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতে গিয়ে কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট সংহিতা বোস বলেন এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়মিত জলের যোগান, শৌচাগারের ব্যবস্থা, মা ও শিশুদের অপেক্ষা করার জন্য স্থায়ী শেড, গোডাউন ইত্যাদির ব্যবস্থা হওয়ার ফলে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা মানুষজন যথেষ্ট সুবিধা জনক ব্যবস্থা পাবেন। এদিন বিশেষভাবে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাসি, যুগ্ম বিডিও শ্রেয়া নাগ, পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ উৎপল কর, আছড়ার প্রধান কল্পনা তাঁতি,উপপ্রধান হরেরাম তেওয়ারী সহ অনেক।

Leave a Reply