ASANSOL

নতুন বছরের প্রথম দিন আসানসোল জেলে কাটবে অনুব্রত মণ্ডলের

বীরভূমের দুবরাজপুরের মামলায় জামিন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ বড়দিন নিজের জেলা বীরভূমে কাটলেও, বর্ষ শেষ ( ২০২২) ও বর্ষ বরণ ( ২০২৩) আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে কাটবে অনুব্রত মন্ডলের। তার কারণ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আসানসোল জেলে নিয়ে আসা হয় বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিকে। এদিনই তাকে বীরভূমের দুবরাজপুর আদালত তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মী শিবকুমার মন্ডলের করা মামলায় জামিন দিয়েছে। তারপরই তাকে সড়কপথে ছয়টি পুলিশ গাড়ির কনভয়ে সোজা দুবরাজপুর থেকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার বা জেলে নিয়ে আসা হয়। পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে জেলে ঢোকার সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন। কিন্তু অনুব্রত মন্ডল কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে জেলের গেট টপকে ভেতরে ঢুকে যান। এই সময় তাকে দেখে খুব চুপচাপই লাগে।


গত ২২ ডিসেম্বর আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে গরু পাচার মামলার শুনানি ছিলো। কিন্তু জেলের তরফে আদালতকে জানানো হয়েছিলো যে, অনুব্রত মন্ডল বীরভূমের দুবরাজপুর থানায় পুলিশ হেপাজতে রয়েছেন। অনুব্রত মন্ডলকে তাই আদালতে হাজির করানো যাবে না। সেই কারনে সেদিন আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে গরু পাচার মামলায় শুনানি হয়নি। আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ছুটিতে থাকায় আরো ১৪ দিন পরে আগামী ৫ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে এডিজে ( প্রথম) নির্দেশ দিয়েছিলেন।


প্রসঙ্গতঃ, গত ১৯ ডিসেম্বর বীরভূম জেলা পুলিশের দুবরাজপুর থানার পুলিশ ২০২১ সালে বিধান সভা নির্বাচনের আগে দলের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগে হওয়া একটি মামলায় আসানসোল জেল থেকে অনুব্রত মন্ডলকে নিয়ে যায়। সেদিনই দুবরাজপুর আদালত তাকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তখন থেকেই তিনি দুবরাজপুর থানায় ছিলেন।


উল্লেখ্য, গত ১০ আগষ্ট সিবিআই গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করছিলো। তিনি মোট ১৪ দিন দুদফায় সিবিআইয়ের হেফাজতে ছিলেন। তারপর গত ২৪ আগষ্ট থেকে অনুব্রত মন্ডল আসানসোলে জেলে রয়েছেন। এরপর বেশ কয়েকবার সিবিআইয়ের অফিসাররা জেলে গিয়ে তাকে জেরা করেছেন। গত ১৭ নভেম্বর ইডির অফিসাররাও জেলে গিয়ে তাকে ৫ ঘন্টা জেরা করেছিলেন। জেরায় সহযোগিতা না করায় ইডি তাকে শোন এ্যারেষ্ট করে দিল্লি নিয়ে যেতে চায়। দিল্লির রাউস কোর্ট থেকে তার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্টও জারি করা হয়েছিলো। কিন্তু তারই মধ্যে দুবরাজপুর পুলিশ তাকে অন্য মামলায় নিজেদের হেফাজতে নেওয়ায় ইডি সেই নির্দেশ কার্যকর করতে পারেনি। যদিও, ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্ট সেই প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৯ জানুয়ারি।
তাই বলা যেতে পারে যে, নতুন বছর ২০২৩ এর একবারে শুরুতেই অনুব্রত মন্ডলের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

Leave a Reply