ASANSOL

আসানসোলের কমার্শিয়াল ও কনজিউমার কোর্ট জেলা আদালত চত্বরে আনার দাবি, সরব বার এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল উত্তর বিধান সভা এলাকার কন্যাপুর ও কেএসটিপি বা কল্যানপুর স্যাটেলাইট টাউনসিপ এলাকায় থাকা জেলা কমার্শিয়াল কোর্ট ও কনজিউমার ফোরাম কোর্টকে সরিয়ে আসানসোল জেলা আদালত চত্বরে আনার দাবিতে সরব হলো আসানসোল জেলা বার এ্যাসোসিয়েশন। জেলা বার এ্যাসোসিয়েশনের পদাধিকারী ও সদস্য আইনজীবীরা প্রাথমিক পর্যায়ে এই দাবি আদায়ে আন্দোলনও শুরু করলেন।


বুধবার জেলা বার এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেখানে উপস্থিত বার এসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি রাজেশ তেওয়ারি, প্রাক্তন সভাপতি ও বিধায়ক অমিতাভ মুখোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক বাণী মন্ডল বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে আসানসোল জেলা আদালত থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরপ আসানসোলের কন্যাপুর ও কেএসটিপিতে কনজিউমার কোর্ট এবং কমার্শিয়াল কোট চালু করা হয়। ঐ এলাকায় বাস চলাচল নেই। অন্যান্য যানবাহন নিয়মিত যায় না। ফলে যদি কোনও আইনজীবীকে বা অভিযোগকারীকে ঐ দুই আদালতে যেতে হয় তাহলে তাদেরকে গাড়ি রিজার্ভ করে যেতে হয়। তা ছাড়াও আসানসোল জেলা আদালত চত্বরে যেমন ২৩ টি কোর্ট আছে। যেখানে সিবিআই কোর্ট থেকে শুরু করে অন্যান্য কোর্ট গুলিতে সহজেই আইনজীবীরা গিয়ে কাজ করতে পারেন। কিন্তু এখান থেকে যদি কোন আইনজীবী ঐ দুই আদালতে যান তাহলে সেখান থেকে ফিরে আর অন্য কোন কাজ করতে পারবেন না। তারা আরো বলেন, সেইজন্যেই জেলা বার এ্যাসোসিয়েশনের তরফে রাজ্যের আইন মন্ত্রী থেকে শুরু করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও বিচারপতিদের কাছে এই বিষয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই দাবি নিয়ে আগামী ১৩ জানুয়ারি আইনজীবী আদালতে প্রতিবাদ করবেন। সেদিন যদি কোন আইনজীবী আদালতে নিজের কাজে না আসেন তাহলে তার বিরুদ্ধে যেন “নো এ্যাডভার্স অর্ডার” না নেওয়া হয় তার জন্য জেলা জজ ও অন্য বিচারকদের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে তারা জানান।


একই সঙ্গে রাজেশ তেওয়ারি আরো বলেন, শুধু মাত্র আইনজীবীদপর স্বার্থে নয়, যারা এই দুই আদালতে গিয়ে উপকৃত হন তাদের স্বার্থে ও যোগাযোগের কারণেই আগামী দিনে বড় আন্দোলনে যাবো। অন্যদিকে, অমিতাভ মুখোপাধ্যায় আরো বলেন, আসানসোলের অতিরিক্ত জেলা জজ (চার) ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ছয়) এই দুই আদালতে বিচারকের অভাবে দীর্ঘদিন ফাঁকা রয়েছে। বার এ্যাসোসিয়েশন অবিলম্বে এই দুই কোর্টেও বিচারক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছে।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন মুনির বেগ, সুপ্রিয় হাজরা, অভিজিৎ রায় , সনাতন ধারা, চন্দন পাল, সৌরভ গাঙ্গুলি, চন্দন চট্টোপাধ্যায় , শান্তনু বন্দোপাধ্যায় , অনুপ মুখোপাধ্যায় , কাঞ্চন মুখোপাধ্যায় ও অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ।

Leave a Reply