ASANSOL

লায়ন্স ক্লাব আসানসোল ইস্ট এর উদ্যোগে উদয়ন ক্লাবে যোগা প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ই – ওয়েস্ট সংগ্রহ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন কর্মসূচির আয়োজন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় :স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আসানসোলের প্রতিষ্ঠা উদয়ন ক্লাব প্রাঙ্গনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি আন্ত: ক্লাব যোগা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এরই সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে লায়ন্স ক্লাব আসানসোল ইস্ট এর উদ্যোগে ই – ওয়েস্ট সংগ্রহ করার ব্যাপারে জন সচেতনতামূলক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে মোট পাঁচটি লায়ন্স ক্লাব যথাক্রমে আসানসোল এক্সিস, আসানসোল মেগাসিটি, আসানসোল উদয়ন, আসানসোল পুষ্পাঞ্জলি ও আসানসোল ইস্ট – র প্রতিনিধিরা ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন লায়ন্সক্লাবের পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর লায়ন জয়ন্তী মল্লিক, ফার্স্ট ভাইস ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ড: সমরেন্দ্র বসু,সেকেন্ড ভাইস ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর লায়ন ড: নবারুণ গুহঠাকুরতা, আসানসোল ইস্ট পাস্ট প্রেসিডেন্ট প্রদীপ কুমার ঠাকুর প্রমুখ।



লায়ন্স ক্লাব সেকেন্ড ভাইস ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর লায়ন ড: নবারুণ গুহঠাকুরতা বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হটন রোড উদয়ন ক্লাব প্রাঙ্গনে যোগা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি ই ওয়েস্ট অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ওয়েস্ট বা ইলেকট্রনিক বর্জ্য পদার্থ এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব জুড়ে। এদেরকে রিসাইকেল করা রীতিমত জরুরী হয়ে পড়েছে।
ভারত বর্ষ সারা বিশ্বের কাছে তৃতীয় দেশ যেখানে সব থেকে বেশি ই – ওয়েস্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। আর সে কারণেই লায়ন্স ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। “ডোনেট এন্ড ডাম্প” নামক এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ইউএস কালেকশন করে “হিউ” নামক একটি সংস্থা যারা ই ওয়েস্ট রিসাইকেল করেন তাদের কাছে পাঠানো হবে। ১৩ ই জানুয়ারি থেকে ১৩ ই ফেব্রুয়ারি এই এক মাস ধরে এই কর্মসূচি চলবে। তিনি আরো বলেন যে সবার জেনে রাখা ভালো যে ,বিভিন্ন ইলেকট্রনিক বস্তুর মধ্যে পারদ সিলভার এবং অন্যান্য ধাতু থাকে যেগুলি সংগ্রহ করে ১২ থেকে ১৮ বছরের ছোট ছোট শিশুরা এবং বাকি অংশ ফেলে দেয়। এর ফলে একদিকে যেমন দূষণ সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে শিশুদের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে এবং দেখি গিয়েছে বছর ২৮-৩০ এর মধ্যে অনেকাংশেই মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে। আর সেকারণেই ই ওয়েস্ট রি সাইকেল করার প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে এই কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া।

এছাড়া পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর
লায়ন জয়ন্তী মল্লিক মানুষকে অনুরোধ করেন তারা যাতে বাড়ির ফেলে রাখা ইলেকট্রনিক বর্জ্য পদার্থ সেটি খারাপ হওয়া মোবাইল , টিভি থেকে শুরু করে যেকোনো কিছু যেন উদয়ন ক্লাবে এসে দিয়ে যান এবং পরিবেশকে বাঁচাতে সাহায্য করেন।

Leave a Reply