RANIGANJ-JAMURIA

জাল লটারি টিকিট বিক্রির চক্রের চারজন গ্রেপ্তার, প্রায় সাত হাজার জাল টিকিট বাজেয়াপ্ত

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : জামুরিয়া থানার পুলিশ লাগাতার জাল লটারি টিকিট বিক্রির চক্রকে ভেঙে দিতে তৎপর হয়ে এবার তৃতীয় দফায় আরো চারজন ব্যক্তিকে, প্রায় সাত হাজার জাল টিকিট ও নগদ ২১ হাজার টাকা সহ গ্রেফতার করল। রবিবার পুলিশ ধৃতদের জাল টিকিট চক্র বিস্তারের অভিযোগে আসানসোল জেলা আদালতে তাদের হাজির করে। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় আগামী পাঁচই জানুয়ারি জামুরিয়া, আসানসোল, ও রানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে ১০ জন ও পরবর্তীতে দুইজন ও পরে ১৪ জানুয়ারি আরও দুই ব্যক্তিকে এই জাল টিকিট সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে।

তাদের মধ্যেই এই টিকিট চক্রের মূল চক্রি অরবিন্দ পান্ডা ও রবি গিরিকে গ্রেফতার করে তারা। পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পরই ফের আরো এক দফায় জামুরিয়া থানার পুলিশ ঝাড়খণ্ডের জাল লটারি চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে এই ঘটনায় আবারও অতর্কিত অভিযান চালিয়ে কুলটি থানার নেয়ামতপুরের বামুনডিহার মহাবীরপাড়ার একটি বদ্ধ ঘরে ৭০০০ জাল টিকিট সহ চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল।

এবারের ধৃতরা হল বছর ২৮ এর ওই এলাকারই মিরাজ খান, বছর ৩২ এর কুলটির বিল্টু দাস, বার্নপুরের ধূপডাঙ্গার বছর ৩২ এর গণেশ প্রসাদ ও বছর ত্রিশের অমরদীপ সাউ কে তারা জাল টিকিটসহ গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য ধৃতদের কাছে পুলিশ এই জাল টিকিট ছাড়াও বেশ কিছু যন্ত্রাংশ ও এই টিকিটের নাম্বার করার যন্ত্রসহ বেশ কিছু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে। রবিবার পুলিশ ধৃতদের আসানসোল জেলা আদালতে পাঠিয়ে আগামীতে তাদের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা বা তাদের এই লটারি চক্রের জাল আর কতটা বিস্তৃত রয়েছে, তা জানার জন্য ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য ঝাড়খণ্ডের এই নকল টিকিট ইতিমধ্যেই খনি অঞ্চল শিল্পাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অংশে ছড়িয়ে পড়ায় অনেক সাধারণ মানুষ এই সকল টিকিট খরিদ করে বিপাকে পড়েছেন। আগামীতে এই জাল আরো কতটা বিস্তৃত তা নিয়ে খোঁজ তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। জানা গেছে এই জাল টিকিট চক্রের চক্রীরা গ্রাম গঞ্জ ও প্রত্যন্ত এলাকায় এই টিকিটের ব্যবসা ফেঁদে সাধারণ মানুষকে বোকা বানাচ্ছিল। যা কিভাবে সম্ভব হয়েছে তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা।

Leave a Reply