PURULIA-BANKURAWest Bengal

“এক ডাকে অভিষেকে” কল করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেল বাঁকুড়ার ছাত্রী

বেঙ্গল মিরর, বাঁকুড়া : সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান। অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেলো ১৫ বছর বয়সী ময়না মণ্ডল। বাঁকিসোল এ. কে. ইনস্টিটিউশন-এর মাধ্যমিকের ছাত্রী। অসুস্থতার কারণে, তিনি স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিল আপ করতে পারেননি এবং যার ফলে যথাসময়ে অ্যাডমিট কার্ড হাতে পাননি। ময়নার পরিবার মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করেন। অবশেষে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন, গত শনিবার পূর্ব নবাসন গ্রাম থেকে ‘এক ডাকে অভিষেকে’ যোগাযোগ করেন তার পরিবারের সদস্যরা ৷ আর ফোন করতেই মুশকিল আসান। অ্যাডমিট কার্ড হাতে পান ময়না। চিন্তার অবসান হয় সোনামুখীর মণ্ডল পরিবারের।



সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত শনিবার “এক ডাকে অভিষেকে” সমস্যাটি নথিভুক্তি করার পর তৎক্ষণাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে শিক্ষা দফতরকে বিষয়টিকে জানানো হয়। শিক্ষা দফতর থেকে সোমবারই তাঁকে এসে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে বলা হয়। কিছু পারিবারিক সমস্যা থাকার কারণে তাঁরা সোমবারের জায়গায় বুধবার অ্যাডমিট কার্ডটি সংগ্রহ করেন।

ময়না মণ্ডল তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিল আপ করতে পারিনি। গত শনিবার আমার মামা শুকদেব ঘোষ “এক ডাকে অভিষেক”- এর ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানায়। আর তার পরেই সমাধান পাওয়া যায়। আমি ধন্যবাদ জানাই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং তার “এক ডাকে অভিষেক” কর্মসূচিকে। ময়নার বাবা তাঁর বক্তব্যে বলেন, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার মেয়েকে অ্যাডমিট কার্ড পেতে সহযোগিতা করার জন্য। পাশাপাশি তাঁর “এক ডাকে অভিষেক” কর্মসূচির জন্যও শুভেচ্ছা জানাই এবং আগামীদিনে এই কর্মসূচি যাতে আরো মানুষের সহায়তা করতে পারে তার আশা রাখি।


বাঁকিসোল এ. কে. ইনস্টিটিউশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী আমরা মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড বিতরণ করি গত ১৫ তারিখে। কিন্তু ১৭ তারিখে আমরা দেখতে পাই যে, আমাদের এক ছাত্রী ময়না মণ্ডল শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফর্ম ফিলআপ না করার জন্য অ্যাডমিট কার্ড হাতে পায়নি। তখন ওর পরিবারের তরফ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে, আমাদের মেয়ে এখন সুস্থ আছে পরীক্ষা দিতে চায়। তখন আমি তাদের থেকে সমস্ত নথিপত্র চাই এবং যথা জায়গায় জমা দিই। কিন্তু ময়নার মামা তার নিজের তরফ থেকে চেষ্টা করে “এক ডাকে অভিষেক” কর্মসূচিতে যোগাযোগ করে আর তাতেই আসে সফলতা। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় আমাদের স্কুলের ছাত্রী ময়না মণ্ডল আগামীকাল মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছে। তার জন্য বিদ্যালয়ের তরফ থেকে এবং ব্যাক্তিগতভাবে আমার তরফ থেকে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। উনি এর আগেও বহু মানুষের এই ভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং আগামীদিনেও করবে তার জন্য শুভ কামনা জানাচ্ছি।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা এলাকা ডায়মন্ড হারবারে এই কর্মসূচি চালু করা হয়। সেই কর্মসূচির নাম “এক ডাকে অভিষেক”৷ এই কর্মসূচি অনুযায়ী, তাঁর লোকসভা এলাকা ডায়মন্ড হারবারে কোনও রকম সমস্যা হলে সেখানকার মানুষ সরাসরি তাঁকে ফোন করতে পারবেন৷ কিন্তু পরবর্তীকালে অন্যান্য জেলা থেকেও কল করে সমাধান পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এবার সেখানে ফোন করেই সমস্যা মিটল সোনামুখী নিবাসী ১৫ বছর বয়সী ময়না মণ্ডলের।

Leave a Reply