ASANSOLBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

পলাশের ডাল না ভাঙ্গা বা ফুল না ছেড়ার জন্য পশ্চিম বর্ধমান বনদপ্তর অভিনব উদ্যোগ নিল

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য্য, আসানসোল : সামনেই হোলি এবং বসন্ত উৎসব । আর এই উৎসবকে ঘিরে ছোট বড় করে অসংখ্য অনুষ্ঠানে নৃত্যশিল্পীদের বা দর্শকদের মাথায় দেখা যায় পলাশ ফুল লাগানো আছে। উৎসাহিদের হাতে এবং গলায় পলাশ ফুলের মালা। সেই পলাশ ফুলকে বাঁচাবার জন্য বা পলাশের ডাল না ভাঙ্গা বা পলাশ ফুল না ছেড়ার জন্য এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার বনদপ্তর অভিনব উদ্যোগ নিল ।

জেলার সালালপুর, বারাবনি, মাইথন, দুর্গাপুরের একাধিক জায়গা সহ বিভিন্ন এলাকায় বনদপ্তরের পক্ষ থেকে ফেস্টুন দেয়া শুরু হলো বুধবার বিকেলে।ফেস্টুনে লেখা আছে ফুল ছিড়বেন না বা পলাশ ডাল ভাঙবেন না। ওদের বাঁচতে দিন। দুর্গাপুরের ডিএফও বুদ্ধদেব মন্ডল বলেন পলাশ কে যাতে ধ্বংস না করে তার জন্যই আমাদের এই আবেদন।


অন্যদিকে এই বসন্তের সময় যাতে জঙ্গলে কোন মতে দুষ্কৃতীরা আগুন না লাগাতে পারে, কাঠ পাচারকারী , চোরা শিকারি, , আন্তরাজ্য পাখি পাচার না করতে পারে তার জন্য কড়া মনোভাব নিয়ে বিশেষ চেকিং এবং প্রচার শুরু করল জেলা বন বিভাগ ৷ দুর্গাপুরের জেলা বন বিভাগের তরফে এই সময় জঙ্গলকে রক্ষা করতে জেলা জুড়ে বিভিন্ন জঙ্গলের পাশের রাস্তায় বিভিন্ন গ্রাম্য এলাকায় রাস্তার ধারে আন্ত:জেলা সীমান্তে নাকা চেকিং শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। রাস্তায় নেমে গাড়ি চেকিং করতে দেখা গেল বনদপ্তরের মুখ্য বনপাল এম আর ভট্টাচার্য এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডিএফও বুদ্ধদেব মন্ডল সহ অন্যান্য আধিকারিকদের । দিন রাতে রাস্তা জুড়ে আন্ত:রাজ্য নাকা চেকিং . জঙ্গল এলাকাতে চলছে যাতে কেউ দেশলাই , বিড়ি সিগারেট, আগ্নেয়স্ত্র, বোমা নিয়ে প্রবেশ বা প্রস্থান করতে না পারে। বন কর্মীদের নিয়ে চলছে জঙ্গলে জঙ্গলে টহলদারি ।

বিভিন্ন দুষ্কৃতীরা যারা জঙ্গল পুড়িয়ে সেই কাঠ অন্তরাজ্য এবং আন্ত জেলায় পাচার না করে সেদিকেও সাদা পোশাকেও বননকর্মীদের রাখা হয়েছে। বারাবনির গৌরান্ডি অঞ্চলের জঙ্গলে বারবার আগুন লাগানোর ঘটনায় ওই অঞ্চলে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে বলে ডি এফ ও জানিয়েছেন। জামুরিয়া ও রানীগঞ্জ বিশেষ নজর রাখা হয়েছে । এখন এটার টানা চলবে।


.

Leave a Reply