জামুড়িয়ার বেসরকারি কারখানার রড অন্য জেলায় বিক্রির অভিযোগ, গ্রেফতার ট্রাক মালিক, উদ্ধার ২০ লক্ষ টাকার সামগ্রী
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ* আসানসোলের জামুড়িয়ার একটি বেসরকারি কারখানার থেকে রড বোঝাই ট্রাক গন্তব্য স্থলে না নিয়ে গিয়ে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন স্থানে রড বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিলো। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাক চালক তথা মালিক গাজ্জি অশোককে গ্রেফতার করে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার রড উদ্ধার করলো জামুড়িয়া থানার পুলিশ।
বৃ্হষ্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপি(সেন্ট্রাল) শ্রীমন্ত বন্দোপাধ্যায় এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, গত ১৯ মার্চ একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিলো জামুড়িয়া থানার পুলিশ। পিন্টু তেওয়ারি নামে এক ব্যাক্তি সেই অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে ১৪ মার্চ ট্রাকের মালিক তথা চালক গাজ্জি অশোক জামুড়িয়ার একটি বেসরকারি কারখানা থেকে চালান সহ রড বোঝাই ট্রাক নিয়ে অসমের জোড়হাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এরপরেই ট্রাক চালকের মোবাইল ফোন বন্ধ পায় তারা। পরপর দুদিন মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে তিনি বুকিং কোম্পানির মালিককে ফোন করেন। কিন্তু তার কাছেও কোনো সদুত্তর না তিনি নিজেই ১৭ মার্চ সেই ট্রাক খুঁজতে খুঁজতে বীরভূমের নলহাটি পর্যন্ত যান। এই বীরভুম দিয়ে ট্রাক অসমে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেখান পর্যন্ত গিয়ে ট্রাক না পেয়ে তিনি ১৯ মার্চ ফিরে আসার পথে সেদিন সন্ধ্যাবেলা
তিনি ঐ ট্রাকটিকে খালি অবস্থায় জামুড়িয়ার বিজয়নগর গ্রামের মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই জামুড়িয়া থানার কেন্দা ফাঁড়ির অফিসার সুকান্ত দাস এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। এরপর খোঁজ করতে গিয়ে ট্রাক মালিক তথা চালক গাজ্জি অশোককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে আসানসোল আদালতে তুলে ৭ দিনের পুলিশ হেপাজতে নেওয়া হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন জেরায় গাজ্জি স্বীকার করে যে সে ঐ লোহার রড বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করেছে। এরপর পুলিশ তাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে সেই চুরি যাওয়া প্রায় ২০ লক্ষ টাকার রড মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম থানা ও সাগরদিঘী থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।