রানিগঞ্জের বণিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আসানসোলের ডিআরএম কে স্মারকলিপি
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী , রানীগঞ্জ : একি ? সেই পুরনো চিন্তা ভাবনা মাথায় রেখেই যাত্রী স্বচ্ছন্দ থেকে পণ্য পরিবহনকে কি বেশি গুরুত্ব দিল রেল ? যাত্রীদের পরিবহনে তেমন বিশেষ অর্থ উপার্জন হয় না, তাই, পণ্য পরিবহনই একমাত্র উপার্জনের পথ। এমনই দাবি করে, ভারতের প্রথম কয়লা খনি গড়ে ওঠার সাথেই, প্রথম স্টেশন হিসেবে খ্যাতি লাভ করা রানীগঞ্জ রেল স্টেশন এখনো রয়ে গেল বঞ্চিত। রানীগঞ্জ রেলস্টেশন কে হেরিটেজ স্টেশন ঘোষণা করা হলেও রানীগঞ্জের স্টেশন এলাকার পরিষেবা অনেকটাই বেহাল হয়ে রয়েছে, যা অকপটে স্বীকার করলেন আসানসোল রেল ডিভিশনের সদ্য নিযুক্ত ডি আর এম চেতনা নন্দ সিং। খনিশহর রানীগঞ্জে একসময় রেলের যাত্রার সূচনা পর্ব শুরু হয়। সে সময় মূলত জ্বালানির জন্য ব্যবহারের কাজে উপযোগী কয়লা পরিবহনের ক্ষেত্রেই রেলকে যাতে কার্যকরী করা যায়, সে বিষয়কে মাথায় রেখে রানীগঞ্জ টু হাওড়া প্রথম রেল যাত্রা শুরু হয়। এরপরে সমৃদ্ধ হয় আসানসোল রেল ডিভিশন। এবার সেই রেল ডিভিশনে যাত্রী সাচ্ছন্দের থেকে পণ্য পরিবহনে, বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতীয় রেল। রানিগঞ্জ বণিক সংগঠন রানীগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স এর পক্ষ থেকে আয়োজিত এক বৈঠকে এই মতপ্রকাশ করেন আসানসোল রেল ডিভিশনের ডিআরএম চেতনা নন্দ সিং।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/08/IMG-20230803-WA0042-e1691073753750-500x281.jpg?resize=500%2C281)
তিনি জানান, রেল থেকে বছরে ৫২০০ কোটি টাকা লাভ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। যেখানে যাত্রী পরিবহন থেকে মাত্র ৮০০ কোটি টাকা আয় হয়। তাই কয়লা, লোহা ও সিমেন্ট ছাড়াও সমস্ত পরিবহনে জোর দিতে নতুন প্রকল্প ঘোষণা করে শিল্পপতিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। আর এর মাধ্যমেই রেলের ব্যবসায়িক মনোভাব, যা বর্তমান কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের দৃষ্টিভঙ্গি, তা তার বক্তব্যে ফুটে উঠেছে। এদিন তিনি রেল স্টেশনের যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়ে, সাংবাদিকদের জানান আগামীতে রেল যাত্রী সাছন্দ নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। রেলের যে সকল পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিশেষ কয়েকটি কাঠামো রেল কর্তৃপক্ষ একসময় রানীগঞ্জ স্টেশনে গড়ে তুলেছিল, তা রেলের টিকিট কাউন্টার ই হোক বা শৌচালয় সবগুলি বর্তমানে বেহাল হয়ে রয়েছে যা নিয়ে খোঁজ খবর করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এদিন রানিগঞ্জের বণিক সংগঠনের পক্ষ থেকে হর্ষ খৈতান, রানিগঞ্জ রেল স্টেশনে কয়েকটি বিশেষ ট্রেনের স্টপেজ সহ যাত্রী পরিষেবা ও শিল্পোদ্যোক্তাদের পণ্য পরিবহনে সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়ে, আসানসোলের ডিআরএম কে স্মারকলিপি প্রদান করেন। একইভাবে উখড়া চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকেও সেখানের বেশকিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সব বিষয়গুলি এদিন খতিয়ে দেখে রেল ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব তা এদিন স্পষ্ট করেন সকলের সামনে।