ASANSOL

আসানসোল মেরিনার্সের আনন্দ উচ্ছাস, আতশবাজি

ডার্বি যুদ্ধ দেখতে জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : রবিবার আসানসোল গড়াই রোডের বুধা ময়দানে আসানসোল মেরিনার্সের উদ্যোগে এবং দেশপ্রেমিক ক্লাবের সহযোগিতায় বড় পর্দায় অর্থাৎ এলইডি জায়েন্ট স্ক্রিনে কলকাতার সল্টলেক ক্লাব অনুষ্ঠিত হওয়া চির পরিচিত যুযুধান রাজ্যের দুই ফুটবল ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ডুরান্ড কাপে ফাইনাল ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার দেখানো হয়।

আসানসোল মেরিনার্স হল মোহনবাগান ফ্যান ক্লাব যা, মোহনবাগান ম্যাচ চলাকালীন সর্বদা অত্যন্ত উৎসাহের সাথে দলকে সমর্থন করে। এদিন কলকাতায় সল্টলেক স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের মধ্যে ডুরান্ড কাপ ২০২৩ ফাইনাল খেলা হয়। ফাইনাল ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার ডিজিটাল জায়েন্ট স্ক্রিনে দেখানো হয় আসানসোল মেরিনার্সের তরফে।
এই ম্যাচে মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে বিজয়ী হয়। ফলে আবেগ ও উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে মোহনবাগানের সমর্থনকারী আসানসোল মেরিনার্সের সদস্যরা। তারা আতশবাজি পুড়িয়ে এবং মোহনবাগানের স্লোগান তুলে আনন্দ উচ্ছাস প্রকাশ করে।

ক্লাবের সদস্য সাধারণ সম্পাদক শৈলেন চক্রবর্তী ও সুমিত চট্টোপাধ্যায় উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, এই মাঠ আমাদের কাছে ভীষণ প্রিয়। এই মাঠে এর আগেও আমরা বড় পর্দার মাধ্যমে প্রদর্শনী দেখিয়েছিলাম। প্রতিবার ডার্বির সময় আমরা জায়েন্ট স্ক্রিনে দেখিয়ে থাকি ফুটবল ম্যাচ। এই ক্লাবের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। এইবার আমাদের উত্তজনার কারণ ছিল দিন কয়েক আগে আমরা কোনো কারণবশত: হেরে গিয়েছিলাম। এমন ভাব দেখানো হচ্ছিল আমরা যেন সর্বস্ব খুইয়ে বসেছি। আজ আমরা জিতে প্রমাণ করে দিলাম যে মোহনবাগানের গুরুত্ব ভারতবর্ষের ফুটবল ময়দানে সর্বদা অদ্বিতীয় ছিল এবং থাকবে। কারণ মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে।


শৈলেন চক্রবর্তী, সুজিত ব্যানার্জী, সুমিত চ্যাটার্জি, বিক্রম বেটা, সৌরভ প্রসাদ, অভিক পাল, অভিনব হাজরা, সায়ন পাঁজা, কালী কৃষ্ণ মুখার্জি, পঙ্কজ রায়, বিনয় পট্টনায়ক, সৌভিক মাজি, অরিন্দম চ্যাটার্জি সহ আসানসোল মেরিনার্সের বহু সদস্য , দেশ প্রমিক ক্লাবের সদস্য ছাড়াও এলাকার বহু উৎসুক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply