ASANSOL

আসানসোলে ফ্লাইওভার নির্মাণ, তাড়াতাড়ি অনুমোদিত প্ল্যান পাশ করার দাবি

ফসবেকির পক্ষ থেকে ডিএমকে সম্মানিত করা হল, দেওয়া হল স্মারকলিপি ও দাবিপত্র

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : দক্ষিণবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক সংস্থা ফসবেকির পক্ষ থেকে জেলা শাসক এস পোন্নাবালামের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে সম্মানিত করা হয়। ওই সময় ফসবেকির সভাপতি আরপি খৈতান, সাধারণ সম্পাদক শচীন রায়, কার্যনির্বাহী সভাপতি স্বপন চৌধুরী, বিনোদ গুপ্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলেই জেলা শাসকের সাথে দেখা করে তাকে আশ্বস্ত করেন যে তাদের সংগঠন এর আগেও জেলা প্রশাসনকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে।
প্রধানত: ফসবেকি আধিকারিকরা আসানসোল শহরের যানজট পরিস্থিতি মোকাবেলায় উষা গ্রাম থেকে ভগৎ সিং মোড় পর্যন্ত একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের কথাও বলেন। তারা বলেন আসানসোলে বসবাসকারী মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এমন ফ্লাইওভারের আশায় দিন কাটাচ্ছেন। সংগঠনটির আধিকারিকরা এবং নগরবাসী যাতে জ্যাম থেকে স্বস্তি পেতে পারে সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার জন্য জেলাশাসকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

পাশাপাশি ফসবেকির পদাধিকারীদের তরফে ডিএমকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এই স্মারকলিপির মাধ্যমে তারা কিছু সমস্যার প্রতি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। তারা বলেন, রাণীগঞ্জে ইস্টার্ন কোল ফিল্ডস লিমিটেড বা ইসিএলের মাধ্যমে জমি মিউটেশন করা হচ্ছে।তিনি বলেন, জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি যেভাবে মিউটেশন করছে। রানিগঞ্জের জমি এবং আশেপাশের এলাকার জমি মিউটেশন করা হচ্ছে যার কারণে সমস্যায় পড়েছেন ছোট দোকানদার, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।


,সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব ব্যক্তিরা সব নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে জমি কিনে যথাযথ স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ করে রেজিস্ট্রি করেছেন, এখন ইসিএলের মাধ্যমে এসব জমির মিউটেশন করা হচ্ছে, যার কারণে এসব জমির মালিকরা এখন ভূমিহীন। তারা বলেন ইসিইলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সালে তারা এসব জমি অধিগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু এখানে প্রশ্ন জাগে উঠেছে এত বছর আগে যদি এসব জমি ইসিএল অধিগ্রহণ করে থাকে, তাহলে তারা এতদিন চুপ করে ছিলেন কেন, এতদিন মিউটেশন করানো হয়নি কেন? বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য জেলাশাসককে অনুরোধ করে সমস্যাটির সমাধান খুঁজতে আবেদন করেন।


পাশাপাশি তারা আসানসোল মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন এলাকায় অনুমোদিত প্ল্যান (Sanctioned Plan) পেতে যে দেরী হচ্ছে সেদিকেও জেলাশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারা বলেন যে এর কারণে নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হচ্ছে যার কারণে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই স্মারকলিপির মাধ্যমে জেলাশাসককে আসানসোল মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অনুমোদিত প্ল্যান পাশ করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আর একটি সমস্যা হল আজকের বৈঠকে স্মারকলিপির মাধ্যমে যে বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে তা হল ফায়ার লাইসেন্স ইস্যু। তারা বলেন যে অনলাইন মোডের মাধ্যমে ফায়ার লাইসেন্স পাওয়া অবশ্যই একটি বড় খবর কিন্তু পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এটি একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর একমাত্র কারণ হল স্বচ্ছতার অভাব। তারা বলেন জেলাশাসককে এই বিষয়েও মনোযোগ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে ।

Leave a Reply