অন্ডাল বিমানবন্দরের কাছে তৈরি ৪৮০ টি আবাসন ধসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ (Raniganj Coalfield Rehabilitation project) আসানসোলে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের কার্যালয়ে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার কনফারেন্স হলে আসানসোল রানিগঞ্জ কোলফিল্ড এরিয়ার ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসন নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। ধস কবলিত এলাকার নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত হওয়া মানুষদের পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল বিমান বন্দরের কাছে তৈরি করা হয়েছে ৪৮০ টি আবাসন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হওয়া পুনর্বাসন প্রকল্পে এই ৪৮০টি আবাসন ধসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক আলোচনা করা হয়েছে।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/12/IMG_20231209_194415.jpg?resize=500%2C242&ssl=1)
এই বৈঠকে রাজ্য সরকারের আবাসন দপ্তরের বিশেষ সচিব রাজেশ কুমার সিনহা, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, আড্ডার সিইও আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর সহ অন্যান্য বিভাগীয় উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন ।
বৈঠক শেষে তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৈরি হওয়া ৪৮০ টি আবাসনে জল ,বিদ্যুৎ সহ সমস্ত পরিকাঠামো ও ব্যবস্থা ঠিকঠাক হয়ে আছে কিনা তা আলোচনা করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আবাসন গুলি ধস কবলিত এলাকার মানুষদের হাতে তুলে দেবেন ।
এদিন আবারও তাপসবাবু জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক এই প্রকল্পের জন্য প্রাপ্য টাকা না পাঠানোয়, বেশ কিছু জায়গায় পুনর্বাসনের কাজ আটকে আছে। অনেক সমস্যা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্র সরকারকে টাকার বিষয়টি বারবার বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ, বাম জমানায় আসানসোলের সিপিএম সাংসদ প্রয়াত হারাধন রায় আসানসোল রানিগঞ্জ খনি অঞ্চলের ধস কবলিত এলাকার মানুষদের জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেছিলেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র সরকার বা কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রককে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের জন্য পুনর্বাসন প্রকল্প করতে অর্থ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। রাজ্য সরকারের তরফে আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডাকে এই প্রকল্প রূপায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু নানা টানাপোড়েনের জেরে সুপ্রিম নির্দেশের পরে প্রায় দেড় দশক পার হতে চললেও, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা যায়নি।