BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

সালানপুর ব্লকে রোডশো বাবুল সুপ্রিয়র, মিঠুন চক্রবর্তীর প্রচার নিয়ে কটাক্ষ

বেঙ্গল মিরর, রুপনারায়নপুর ( সালানপুর), দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* ২ বছর আগেও একদলে ছিলেন। কিন্তু সেইসব কিছু এখন অতীত। আজ তারা রাজনৈতিকভাবে বিরোধী। একজন হলেন আসানসোলের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা নরেন্দ্র মোদি সরকারের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী, বর্তমানে রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। অন্যজন হলেন রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস মনোনীত প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ বর্তমানে বিজেপি ন্যাশানাল কাউন্সিল সদস্য, স্টার ক্যাম্পেনার বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।

২০২২ সালে বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। পরে তিনি তৃনমুল কংগ্রেসে যোগ দেন। ঐ বছর তার ছেড়ে যাওয়া আসানসোলে উপনির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে জেতেন শত্রুঘ্ন সিনহা। এই শত্রুঘ্ন সিনহাও একটা সময় বিজেপি সাংসদ হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। আজ শত্রুঘ্ন সিনহা আসানসোলের প্রার্থী। ঘটনাচক্রে রবিবার বাবুল সুপ্রিয় ও মিঠুন চক্রবর্তী আসানসোলে এসেছিলেন দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে।

বাবুল সুপ্রিয় এদিন বিকেলে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে বারাবনি বিধানসভার সালানপুর ব্লকে রোডশো করেন। তার সঙ্গে হুড খোলা গাড়িতে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সদস্য মহঃ আরমান, বিজয় ওরফে ভোলা সিং সহ ব্লকের নেতারা। মোটরবাইক রেলিও হয় এই রোডশোতে। রুপনারায়নপুরের হিন্দুস্তান কেবলস্ দেশবন্ধু পার্ক থেকে এই রোডশো শুরু হয়ে সালানপুর ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা এই রোডশো ঘুরে ঢ্যাড়শপুরে তা শেষ হয়।অন্যদিকে, এদিন সকালে বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে আসানসোল শহরে রোডশো করেন মিঠুন চক্রবর্তী।

পরে তিনি জামুড়িয়ায় বিজয় সংকল্প সভায় বক্তব্য রাখেন। আর সেই প্রচারে পুরনো সতীর্থ মিঠুন চক্রবর্তীকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বাবুল সুপ্রিয়। পাশাপাশি তার কটাক্ষ, কাউকে দেখতে ভিড় হতেই পারে। তারমানে এমনটা নয় যে, সেই দলের প্রার্থী প্রচুর ভোট পাবেন। বাবুলের কথায়, আমি ঐ দলে থাকার সময় মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে অনেক জায়গায় প্রচারে গেছিলাম। সত্যি কথা হলো, সব জায়গায় দলের প্রার্থী হেরেছিলেন। বাবুলের কথায়, মিঠুন চক্রবর্তী বড় অভিনেতা। তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তার রাজনৈতিক স্থায়ীত্ব নিয়ে আর কি বলবো। একটা সময় তিনি সিপিএমের অতি ঘনিষ্ঠ ছিলেন। জ্যোতি বসুকে কাকু বলতেন। সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। এরপর তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃনমুল কংগ্রেসে আসেন।

তিনি তাকে রাজ্যসভার সাংসদও। তারপর চাপে পড়ে তৃনমুল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। আসল কথা হলো সিরিয়াস রাজনীতি উনি কোনদিনই করেননি। এদিন আসানসোলে প্রচারে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাবুল বলেন, এটা নিজের রুচির বিষয়। যার যে রকম ভাষা, সে তেমন ব্যবহার করবে। আমিও তো একটা সময় আসানসোলে থেকে বিরোধী রাজনীতি করেছি। কিন্তু কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি। সেই সময় আমার সঙ্গে কি হয়েছিল, তা সবাই জানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *