বার্ণপুরে দামোদর নদীতে সেতু তৈরির দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থ বিজেপির দুই বিধায়ক
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়/সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : দামোদর নদীতে সেতু তৈরির দাবি নিয়ে আগে থেকেই সরব ছিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপির বিধায়ক রাজ্য নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এবার তিনি সেই দাবিতে শনিবার বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরিকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল ও অভ্যন্তরীণ জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল সঙ্গে দেখা করলেন।
এই প্রসঙ্গে এদিন সন্ধ্যায় অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, আমরা দামোদর নদীর উপর একটি সেতু তৈরির দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেয়ালের সঙ্গে দেখা করি। এই এলাকার মানুষদের জন্য এই সেতু কতটা প্রয়োজন তা মন্ত্রীকে বলেছি। সবমিলিয়ে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। এই প্রকল্পটি দীর্ঘদিনের। যা গত ৫০ বছর ধরে কার্যকর করা হয়নি। দুর্ভাগ্যবশতঃ হলেও সত্যি যে, এই এলাকার বাসিন্দাদেরকে লাগাতার রাজ্য সরকারের দ্বারা উপেক্ষা করা হয়েছে। বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে থাকা বর্তমান প্রশাসন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে পরিকাঠামো উন্নয়ন তাদের লক্ষ্য নয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাটির সমাধান করার জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ, এখানকার মানুষ বারবার অতীতে বাম এবং এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের কাজে হতাশ। দান ক্ষয়রাতির জন্য কোটি কোটি টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আছে। কিন্তুু, মানুষের প্রকৃত উন্নয়নের কথা উনি ভাবেন না। প্রকৃত উন্নয়নের স্বার্থে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছেন দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য যা করার তিনি তা করবেন। তিনি খুব তাড়াতাড়ি দপ্তরের আধিকারিকদের পাঠাবেন সবকিছু খতিয়ে দেখার জন্য।
প্রসঙ্গতঃ, আসানসোলের বার্ণপুরে নেহেরু ( ল্যামিয়ার) পার্কের পেছনে দামোদর নদীতে এই সেতু তৈরির পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই করা ছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিনের দাবি মতো সেখানে স্থায়ী সেতু আজও হয়নি। ঐ জায়গায় একটি বাঁশের অস্থায়ী সেতু আছে। সেই সেতু দিয়ে ছোট গাড়ি ও এলাকার বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। এই সেতু পশ্চিম বর্ধমান জেলার সঙ্গে নদীর ওপারে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার সংযোগ আছে। প্রতি বছর বর্ষার বৃষ্টি সময় ও ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে ঐ সেতু ভেসে যায়। এবছরেও তাই হয়েছে। এরফলে প্রচুর মানুষ সমস্যায় পড়েছেন।