বার্ণপুরে ইস্কো আবাসনে আগুন পুড়ে মৃত্যু কর্মীর, তদন্তে পুলিশ ও কারখানা কতৃপক্ষ
বেঙ্গল মিরর, বার্ণপুর , রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ সেইল আইএসপি বা ইস্কো কারখানার আবাসনে আগুন। আর সেই আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু হলো এক কর্মীর। মঙ্গলবার ভোররাত চারটে নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের গুরুদ্বোয়ারা রোডে। সেল আইএসপির এবি- জি – ৪৬/৯ নং আবাসনের বাসিন্দা মৃত কর্মীর নাম নীতিশ কুমার (৪০)। এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ইস্কো কর্মীর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, আবাসনে এসি বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিন মেশিনে কোনভাবে শট সার্কিটের কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হিরাপুর থানার পুলিশের পাশাপাশি ইস্কো কারখানা কতৃপক্ষ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃত নীতীশ কুমার সেইল কর্মী হিসাবে বার্ণপুর ইস্কো কারখানার ডব্লিউআরএম বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, নীতীশ কুমার মূলতঃ ঝাড়খণ্ডের বোকারোর বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালে সেইল আইএসপিতে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এদিন ভোর ৪টে নাগাদ বার্ণপুরের গুরুদ্বোয়ারা রোডে নীতিশ কুমারের আবাসনে আগুন লাগে। সেই আগুন দেখে আশপাশের লোকজন দমকল বিভাগে খবর দেয়। কিন্তু দমকল বাহিনী যখন পৌঁছায় ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যে ঐ আবাসনের ভেতরে নীতীশ কুমার আগুনে দগ্ধ হয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে বার্ণপুর ইস্কো কারখানা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, নীতিশ কুমার ঐ আবাসন একাই থাকতেন। এদিন ভোর চারটে নাগাদ তার আবাসনে আগুন লাগে। তাতে পুড়ে মৃত্যু হয় তার। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এসি থেকে শট সার্কিট হয়ে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু ঘুমের মধ্যে থাকায় তিনি কিছু বুঝতে পারেন নি। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ইস্কো কারখানার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্কর কুমার বলেন, আবাসনে আগুন লেগে কর্মী মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত কারখানা কতৃপক্ষ করছে। আইএসপির একটি দল আবাসনে যায়। তারা প্রাথমিক তদন্তে শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে কোন প্রমাণ পাননি। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, এই ঘটনায় ইস্কো কারখানার কর্মী মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।