দুর্গাপুরে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্লোগান, হনুমান জয়ন্তীতে বাসে গেরুয়া পতাকা
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ হনুমান জয়ন্তীতে পথে নামলেন বিশ্ব সনাতনী ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোরুই। শনিবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে বহু বেসরকারি বাসে গেরুয়া পতাকা বাঁধলেন তারা। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেওয়া হলো স্লোগান। বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে হিন্দু সনাতনী ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা এদিন হুমকি দিয়ে বলেন, মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী দুর্গাপুরে এলে, তাকে কালো পতাকা দেখানো হবে।
কলকাতার একটি বাস থেকে গেরুয়া পতাকা খুলতে বাধ্য করা হয়েছে সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে এমনই পোস্ট করে সোচ্চার হয়েছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। সাহসের প্রতীক গেরুয়া। সেই গেরুয়া পতাকাকে জোর করে বাস থেকে খুলেছে কট্টরপন্থীরা বলে অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পথে নেমে বাসে এবং গাড়িতে গেরুয়া পতাকা বেঁধে দিতে। শনিবার সকালে দুর্গাপুরের রাস্তায় দেখা গেলো বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোরুইকে নামতে। বিশ্ব সনাতনী ঐক্য মঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে প্রায় ৫০ টি বাসে হনুমান এবং রামের ছবি দেওয়া গেরুয়া পতাকা বাঁধলেন তারা। সঙ্গে দেওয়া হলো স্লোগানও।




এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে দিন কয়েক আগে কলকাতায় রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সংগঠনের সদস্যরা জোর করে বাস থেকে রামনবমী উপলক্ষে লাগানো গেরুয়া পতাকা খুলেছে। আমরা এইসব মেনে নেবো না। দলের রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমাদেরকে রাস্তায় নেমে গাড়িতে গাড়িতে গেরুয়া পতাকা লাগানোর কথা বলেছেন। আমরা এদিন তাই দুর্গাপুরের সিসি সেন্টারে গাড়িতে পতাকা লাগালাম। তিনি আরো বলেন, মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী দুর্গাপুরে এলে তাকে আমরা কালো পতাকা দেখাবো।
দুর্গাপুরে হনুমান জয়ন্তী উদযাপনে পুজোর আয়োজন , মহিলাদের কলস যাত্রা
দুর্গাপুরের বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের গেটে বিধান নগরের ডাক বোম সমাজকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে শনিবার হনুমান জয়ন্তী উদযাপন করা হয়। আয়োজন করা হয়েছে সারাদিন ধরে পুজোর। হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে শনিবার সকালে শতাধিক মহিলা কলস যাত্রা করলেন। কলস যাত্রা শেষ হতেই পূজা অর্চনা ভজন সংকীর্তন শুরু হয়।
বিধাননগর ডাক বোম সমাজকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রবিবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল ও ইএসআই হাসপাতালের রোগীদেরকে ফল বিতরণ করা হবে। এছাড়াও, সন্ধ্যাবেলায় কয়েক হাজার মানুষজনকে বিধান নগর ডাক বোম সমাজকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে প্রসাদ বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।