ASANSOL

পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত ইউটিউবার জ্যোতির সঙ্গে যোগ আসানসোলে থাকা যুবকের

খোঁজ নিয়েছে পুলিশ, ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়/সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত* দেশবিরোধী কার্যকলাপ এবং পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধরা হয়েছে, তার বেশ কয়েকজন সঙ্গীকে। বর্তমানে জ্যোতি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এবার এই ইউটিউবারের ঘটনার সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের নামও জড়িয়ে গেলো।

জানা গেছে, আসানসোলের সেনরেল রোড বা বিবেকানন্দ সরণিতে আবাসন ” নব অনন্যা কমপ্লেক্সে” থাকা এক যুবকের নাম জ্যোতির সঙ্গে জড়িয়েছে। দুজনের ছবিও ভাইরাল হয়েছে। বলা হচ্ছে যে এই যুবকের জ্যোতি মালহোত্রার সাথে যোগাযোগ ছিলো। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এই যুবকের বাবা আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।

এই প্রসঙ্গে ঐ আবাসন কমিটির সভাপতি কাজী জয়নাল আবসার সচিব এবং কংগ্রেস নেতা প্রসেনজিৎ পুইতুন্ডি বলেন, ঐ যুবকের পরিবার প্রায় ৩ বছর ধরে এই আবাসনে ছিলো। যুবক, তার বাবা এবং যুবকের বোন এখানে থাকতেন। প্রায় ১ বছর আগে তারা এই আবাসন ছেড়ে চলে যান।

আরো বলেন, পরিবারের সদস্যরা এখানে কমিটির অন্যান্য লোকদের সাথে খুব বেশি মেলামেশা করতো না। কমিটির লোকেরাও জানে না যে সেই যুবক কি করতো। মাঝে মাঝে তাকে ব্যাগ নিয়ে বাইরে যেতে দেখা যেত। লোকেরা ভাবত যে সে বাইরে কোথাও পড়াশোনা করে। তিনি আরো বলেন, এখন কেউ তাদের বাড়িতে ল্যাপটপ বা মোবাইলে পড়াশোনা করে না বা কি কাজ করছে তার তথ্য রাখা কঠিন। কিন্তু এই সোসাইটির সদস্যরা গত ১ বছর ধরে একটি নিয়ম তৈরি করেছেন যে যদি কোনও ভাড়াটে সোসাইটিতে থাকতে আসে তবে তার পুলিশ ভেরিফিকেশন করানো আবশ্যক।

প্রসেনজিৎবাবু বলেন যে, ঐ যুবকের পরিবার খুব বেশি কারও সাথে দেখা করতো না। কিন্তু কুকুরের প্রতি তাদের অনেক ভালোবাসা ছিল। যদি কোনও কুকুর আহত হতো, তাহলে তারা তার চিকিৎসার জন্য কলকাতাও যেত। তিনি বলেন, ঐ যুবকের বাবা কমিটির লোকদের সাথে দেখা করার চেষ্টা করতেন। কিন্তু যুবকটি কখনও কমিটির লোকদের সাথে বেশি সময় কাটাতে পছন্দ করত না। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে, ঐ যুবক কি করত সে সম্পর্কে কিছুই জানি না। এখন একটি নিয়ম আছে যে, যখনই কোনও নতুন ভাড়াটে আসবে, তার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পুলিশকে জানানো হবে।

জানা গেছে, এদিন সকালে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে প্রসেনজিৎবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে ঐ পরিবার ও যুবকের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। এই আবাসন কমিটির চেয়ারম্যান কাজি জয়নাল আইসার বলেন, সত্যি খুব অবাক লাগছে। তার সঙ্গে ভয়ও লাগছে। আমরা অবশ্য এখন খুবই সতর্ক। আবাসন সূত্রে জানা গেছে, যুবকের নাম সৌমদীপ ভট্টাচার্য। তার বাবা বাপ্পাজিৎ ভট্টাচার্য আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে, আসানসোলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *