ASANSOL-BURNPUR

ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গকে ১০০০ কোটি আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ; মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে হেলিকপ্টারে ঘুরে দেখলেন বিধ্বস্ত এলাকা

বসিরহাট, ২২ শে মে,২০২০, বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : 
রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় অামফানের ( প্রকৃত উচ্চারণ উম – পুন) ব্যাপক তান্ডব, ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাওয়ার  ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করতে আজ হেলিকপ্টারে করে পশ্চিমবঙ্গের সাইক্লোন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”আমি সব ঘুরে দেখেছি। বাংলার এই কঠিন সময়ে বাংলার পাশে থাকব। বাংলা যাতে আবার দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য ভারত সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।”
    পশ্চিমবঙ্গকে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ১০০০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে। পাশাপাশি, মৃতদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের পরিবারকে ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে অর্থসাহায্য করা হবে।

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে হেলিকপ্টারে এলাকা পরিদর্শন করেন মোদী।      এরপরই বসিরহাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। বারবার বলেন, ‘বাংলার পাশে আছি।’
   সকাল ১১ টা নাগাদ  রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়,লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ বিজেপির নেতা-নেত্রীরা।

    এদিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়েই এলাকা ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই কপ্টারে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার।   অন্য একটি কপ্টারে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রতাপ চন্দ্র সারেঙ্গী সহ আরও অনেকে।

  বস্তুত : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, ১৭৩৭ সালের পর এমন দুর্যোগ আর হয়নি। আমপানের তাণ্ডবে রাজ্যে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতায় ১৯ জন এবং বিভিন্ন জেলায় ৬১ জন মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের অন্তত ১৩টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সাত-আটটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এবং আরও চার-পাঁচটি জেলা বিপর্যস্ত।

     মূলত উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার একেবারে ভেঙে পড়া এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন তারা। রাজারহাট, গোসাবা, মিনাখাঁ, হাসনাবাদ, কুলতুলি, ডায়মন্ড হারবার, সন্দেশখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

   দুটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আকাশপথেই চলে নজরদারি এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করা হয়। 
দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর দুপুর ১টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর দুপুর দেড়টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে ওডিশার ভুবনেশ্বরের দিকে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
    বাংলার অবস্থা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যখন আজ পশ্চিমবঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঠিক সেই সন্ধিক্ষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন রাষ্ট্রপতি।
   রাষ্ট্রপতি ফোনে বলেন, ‘বাংলার অবস্থা দেখে চোখে জল আসছে।’
  ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। ওডিশাতেও পড়েছে আমফানের প্রভাব। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ফোন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে এমনিতেই আর্থিক সঙ্কট চলছে রাজ্যে। এই আবহে আশা করা যাচ্ছে আমপানের জেরে ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে রাজ্য চাইলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আরো আর্থিক সহায়তা করা হতে পারে। 
  প্রধানমন্ত্রীর আজকের  সফর অামফান মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের কাছে যে বাড়তি অক্সিজেন প্রদান করল সেটি বলাই বাহুল্য।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *