ASANSOL-BURNPURBengali News

সায়নী ঘোষকে যুব তৃণমূল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়াতে জেলায় খুশির হাওয়া

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল ।আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ  সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পলের কাছে সামান্য ভোটে পরাজিত হলেও নির্বাচনী প্রচারে তার ওপর মানুষের আস্থা এবং কাজকর্ম দেখে দল তাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ছেড়ে যাওয়া রাজ্য যুব সভাপতির পদে স্থলাভিষিক্ত করল।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে সায়নী প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দেন এবং বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণার দুদিন বাদেই পাঁচ ই মার্চ তিনি তার নিজের কেন্দ্র আসানসোল দক্ষিনে পৌঁছে যান ।সায়নী কে দলের রাজ্য সভাপতি পদে বসানোর কথা ঘোষণা হতেই খুশির হাওয়া বয়ে যায় আসানসোল শিল্পাঞ্চলে। তিনি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন তাকে দলের জেলা সভাপতি করা হবে। কিন্তু তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল যে এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়ে যাবে তা হয়তো অনেকেই ভাবেন নি।

মনোনয়নের দিন তার মা সুদীপা ঘোষ কে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র করেছিলেন সায়নী। সেদিন তিনি বলেছিলেন দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে শিখেছি কি করে মানুষের বিপদে মানুষের দুঃখে পাশে থাকতে হয় ।আর মা চান আমি যেন রাজনীতিতে  থাকতে পারি। তার সেই মায়ের ইচ্ছে কিন্তু পূর্ণ হল আজকে রাজ্যের যুব সভাপতি পদে তার নাম ঘোষণার সাথে সাথে। অগ্নিমিত্রা পলের সাথে দাঁতে দাঁত লাগিয়ে সরাসরি টক্কর দিয়েছিলেন তিনি।

রানীগঞ্জে যখন প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে তার মধ্যেও তিনি বাড়ি বাড়ি প্রচার করেছিলেন। আবার তার নিরাপত্তা কর্মী যখন তাকে মাঝেমধ্যে ঘেরাটোপে রেখেছিল তখন সেখান থেকে দৌড়ে ছুটে তিনি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছেন প্রচারে। হেরে যাবার পর তিনি আবারো তার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ফিরে এসেছেন। ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতি গ্রস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কাউকে ত্রিপল কারোর হাতে তুলে দিয়েছেন ট্রান । আর শত শত শিশুর হাতে রঙিন ছাতা ,খাবার জিনিস এসব পৌঁছে দিয়েছেন।

তিনি সেদিনও বলেছিলেন আমি এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে প্রতিমুহূর্তে থাকবো। তার এই খবরে তার সবসময়ের সঙ্গী দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ প্রবীণ রাজনীতিবিদ প্রবোধ রায় এবং দলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিব দাসন বলেন যোগ্য ব্যক্তির হাতেই ওই দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন দিদি।  আমরা কাছ থেকে গত কয়েক মাসে সায়নী কে দেখেই বুঝেছি সে একজন লড়াকু, শিক্ষিতা জনদরদি মহিলা এবং সমস্ত মানুষকে কি করে কাছে টেনে নিতে হয় সেটা তিনি জানেন। তার এই নতুন স্বীকৃতিতে আমরা খুব খুশি ।

অন্যদিকে প্রবোধ রায় বলেন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তার সঙ্গে থেকে আমি দেখেছি কি করে পরিকল্পনা করে দলের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা যায় সেটাই ছিল তার স্বপ্ন। সর্বোপরি আমাদের জেলা থেকে কংগ্রেস আমলে একমাত্র আনন্দ গোপাল মুখোপাধ্যায় রাজ্য সভাপতি হয়েছিলেন কংগ্রেসের। আর সায়নী ঘোষ আমাদের জেলা থেকে এই রাজ্যের তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি হলেন ।এটা সত্যিই আমাদের গর্ব। শুধু তাই নয় যারা সারাক্ষণ তার সাথে ছিলেন তারাও আজকে খুশিতে ডগোমগো। অন্যদিকে কালীপাহাড়ি এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যেও উল্লাস দেখা গেল।

Leave a Reply