ASANSOLBengali News

ইসিএলের নিজস্ব কয়লা খনি থেকে কয়লা তুলে রেল সাইডিংয়ে পাঠানো হলেও মাঝপথে ৫ টি ডাম্পার উধাও

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল ।এক মাসেরও কম সময় ইসিএলের নিজস্ব কয়লা খনি থেকে ডাম্পারে করে কয়লা তুলে রেল সাইডিংয়ে পাঠানো হলেও মাঝপথে ৫ টি জাম্পার উধাও হয়ে গেল। এমনকি তিনটি ডাম্পারে মাঝপথে কয়লা নামিয়ে সেখানে বড় বড় পাথরের বোল্ডার তুলে দেওয়া হল ।আর একটি ডাম্পারের তিন দিন পরেও কোনো খোঁজ মেলে নি।নিখোঁজ ডাম্পারের ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার রাত্রে । আরেকটি ডাম্পার খোদ পুলিশ ধরেছে। যাতে কোনও বৈধ কাগজপত্র  নেই এবং ডাম্পারের গায়ে দুটি রাজ্যের দুটি নম্বর আছে।

 ইসিএল কর্তৃপক্ষ অবশ্য ইতিমধ্যেই এই সমস্ত ঘটনাবলি নিয়ে সালানপুর থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ করেছেন। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ(পশ্চিম) অভিষেক মোদি জানিয়েছেন এর আগে তিনটি ডাম্পারের কয়লা মাঝপথে নামিয়ে পাথর ভরে আনার ঘটনায় দুজন ধরা পড়ে এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক তথ্য মিলেছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ইসিএলের চিফ সিকিউরিটি অফিসার মুকেশ কুমার জানান গত রবিবার রাতে তাদের সালানপুর এরিয়ার ইটাপাড়া কয়লা খনি থেকে একটি ডাম্পার কয়লা বোঝাই করে  বনজেমারি রেলওয়ে সাইডিংয়ে আসছিল ।তারপর থেকে সেই কয়লা বোঝাই ডাম্পার নিখোঁজ হলেও বুধবার বিকেল পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি।

অন্যদিকে তিনি জানান সোমবার রাতে কয়লা বোঝাই একটি ডাম্পার কল্যানেশ্বরী মাইথন হয়ে ঝাড়খন্ড এর দিকে যাওয়ার সময় পুলিশের সন্দেহ হওয়ায়  পুলিশ তাকে ধরে ও  ইসিএল নিরাপত্তাকর্মী এবং সিআইএসএফ এর হাতে তুলে দেয়। মুকেশ কুমার বলেন আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো ঐ ডাম্পারের কয়লা কোনও বৈধ কাগজ চালকরা দেখাতে পারেননি এবং তদন্তে নেমে তারা দেখেন বাংলা এবং ঝাড়খণ্ডের দুটি নম্বর ডাম্পারে আছে। এই ডাম্পারটি কোথাকার এবং ইসিএলের কোথা থেকে কিভাবে কয়লা নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল তার তদন্ত করার জন্য সালানপুর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করে ডাম্পার টি তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। এক্ষেত্রেও তদন্ত শুরু করেছে  পুলিশ। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে গত ২৩ শে জুন গৌরান্ডি কলিয়ারী থেকে দুপুর বেলা পরপর তিনটি ডাম্পার প্রায় ৭৫ টন  কয়লা নিয়ে আসছিল বনজেমারী রেল সাইডিংয়ে ।মাত্র ২৪ কিলোমিটার পথ দু’ঘণ্টার মধ্যে আসার কথা থাকলেও প্রায় ১০ ঘন্টা পরে রেল সাইডিংয়ের কাছাকাছি আসতেই ইসিএলের নিরাপত্তারক্ষীরদের দেখে চালকরা পালায়। নিরাপত্তা কর্মীরা দেখেন এগুলোর মধ্যে  পাথরবোঝাই হয়ে আছে ।তারা তিনটি ডাম্পার আটক করে সালানপুর থানার হাতে তুলে দেয়।  পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দুজন চালক কে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়  একটি ডাম্পারের মালিক বাইকে করে তাদের রাস্তা দেখিয়ে জামুড়িয়ায় একটি কারখানার পিছনে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তারা কয়লা গুলি নামায়। এরপর কাছাকাছি একটি জায়গা থেকে পেলোডারে করে  বড় বড় বোল্ডার পাথর গুলো ঐ ডাম্পার গুলোতে ভর্তি করা হয় এবং তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল গভীর রাতে সাইডিং এ গিয়ে পৌঁছে এগুলো ফেলে দিতে হবে কয়লার ডিপোতে।

কিন্তু সেই সময় যে ওখানে নিরাপত্তারক্ষীরা দাঁড়িয়ে আছে এটা ওরা বুঝতে পারেনি।  পুলিশ তদন্তে নেমে  দেখে যেখানে কয়লা গুলো ফেলে ছিল সেখানে একটু কয়লা পড়ে নেই।  এই ঘটনার পর ওই ডাম্পার গুলির মালিক এবং বাকি চালকরা পালিয়ে গেছে। পুলিশ তাদের তদন্তে নেমেছে ।রাষ্ট্রায়ত্ত ইসিএলের কয়লা খনির কয়লা কিভাবে তাদের পরিবহনের নামে লুট হচ্ছে গত একমাসে এমন পাঁচটি ঘটনায় পাঁচটি ডাম্পারের ক্ষেত্রে তা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে । প্রকৃত তদন্ত শুরু হলে দেখা যাবে শুধু ইসিএলের একটি এরিয়াতেই নয়, হয়তো ইসিএল জুড়েই বহুদিন ধরেই এমন কয়লা কেলেঙ্কারি তাদের স্বীকৃত খনি থেকেই  চালাচ্ছে একটি চক্র।

যতক্ষণ না পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পুরো দেশে খেলা হবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

শিল্পাঞ্চলে পালিত হল শহীদ দিবস, আসানসোল রবীন্দ্র ভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ সম্প্রসারিত হলো জায়েন্ট স্ক্রিনে

Leave a Reply