BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANBengali News

চিত্তরঞ্জন-রূপনারায়ানপুর এলাকায় করােনা আক্রান্তে পাওয়াতে, নতুন করে আশঙ্কা, মানুষ বেপরােয়া

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- করোনার ভয়াবহ কাটতে না কাটতেই নতুনকরে চিত্তরঞ্জন রেল শহরে করােনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আবার চিন্তায় ফেলেছে চিত্তরঞ্জন প্রশাসনকে। জানাগেছে শনিবার চিত্তরঞ্জনে ১৫ জন করােনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের স্যাম্পেল পুনরায় পরীক্ষার জন্য পাঠানাে হলে তার মধ্যে সাতটি রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।তার কারনে তবে সেখানকার অবস্থা ততটা উদ্বেগজনক নয় ।তবে চিত্তরঞ্জন প্রশাসন এর তরফে আগে থেকেই কোরোনা সংক্রম রোধ করার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে ।


কিন্তু চিত্তরঞ্জন এর পর রবিবার বহুদিন পর নতুন করে রূপনারায়ানপুর এলাকায় দুইজনের করোনার পজেটিভ পাওয়ায় নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে রূপনারায়নপুর এবং মিহিজাম অঞ্চলকে ঘিরে । জানা গেছে রবিবার রূপনারায়নপুরের একটি প্যাথলজি সেন্টারের মালিক করােনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ডাবর মােড় সংলগ্ন একটি লজের কাছাকাছি এলাকায় আরাে এক ব্যক্তি পজিটিভ হয়েছেন।তাদের দুজনেরই আরটিপিসিআর টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়েছিল যাতে তাদের করােনা পজিটিভ রিপাের্ট আসায় সেই রিপাের্ট নিয়ে কোনাে সন্দেহের নেই ।


তবে সালানপুর বিডিও অদিতি বসু এবিষয়ে যথেষ্ঠচিন্তায় রয়েছেন।তিনি এই রিপাের্ট জানার সাথে সাথেই
স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়েকিভাবে মানুষকে আরাে সচেতন করে সুরক্ষা দেওয়া যায় সেই বিষয়ে অতি দ্রুত স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পুলিশএর সাথে জরুরী বৈঠক করবেন।তবে রূপনারায়ানপুর অঞ্চলটি ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বর্ডার এলাকা থাকার কারনে মিহিজাম অঞ্চল থেকে বহু মানুষ প্রতিদিন চিত্তরঞ্জন রূপনারায়নপুর এলাকায় আসছেন আবার এদিক থেকে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করছেন ।


সকলেরই করােনার দুটি ডােজ নেওয়া আছে কিনা সেই বিষয়ে খোজ নেওয়ার জন্য দুই রাজ্যের সীমানায় থাকা চেকপােস্টগুলিকে আরও সক্রিয় করার কথা চিন্তাভাবনা করছে স্থানীয় প্রশাসন।যদি এখন থেকে সতর্ক না হওয়া যায় তাহলে তৃতীয় ঢেউ বাড়ার আশঙ্কা অনেকটাই রয়েছে। রূপনারায়ণপুর, চিত্তরঞ্জন ওমেহিজাম এলাকার বাজার হাটগুলিতে যেভাবে মানুষ বেপরােয়া হয়ে মাস্ক ছাড়াই বাজারে ভিড় করে ঘুরে বেড়াচ্ছে।বিভিন্ন হোটেল ও মিষ্টির দোকান গুলির কর্মচারীরা মাস্ক ছাড়াই কাজ করছে, তাছাড়া রাজনৈতিক হোক কিংবা সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান গুলিতেই গাদা গাদা মানুষ ঠাসা ঠাসি করে মাস্ক ছাড়াই রয়েছে ।এতে প্রশাসনকে চিন্তায় ফেলেছে অনেকটাই ।তবে প্রশাসনকে
খুব শীঘ্রই কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে তৃতীয় ঢেউ থেকে মােকাবিলা করা যায়।

Leave a Reply