ASANSOL

Asansol লুটের ঘটনা তদন্তে আসেন ফরেনসিক ও ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা, দফায়-দফায় শাখার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডির

রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১২সেপ্টম্বরঃ আসানসোলের জিটি রোডের ভাঙ্গা পাঁচিল এলাকার বেসরকারি গোল্ড লোন প্রদানকারী সংস্থার শাখায় সোনা ও টাকা লুটের ঘটনার তদন্তভার গেলো রাজ্য পুলিশের সিআইডির হাতে। শনিবার সন্ধ্যার পরেই সিআইডির একটি টিম আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শাখায় আসে। এসেছিলেন আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তম। রবিবার সকালে শাখায় আসেন ফরেনসিক ও ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা।

এদিন সিআইডির অফিসাররা দফায় দফায় শাখার ম্যানেজার, অন্য আধিকারিক ও কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা সংস্থার শাখায় থাকা সিসিটিভির ফুটেজ বারে বারে খতিয়ে দেখে ডাকাতদের সনাক্ত করার চেষ্টা করেন। ফরেনসিক ও ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা শাখার ভেতরের বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেন তদন্তে নেমে পড়েছে। আসানসোল দক্ষিণ থানার অদূরে এই বেসরকারি গোল্ড লোন প্রদানকারী সংস্থার শাখায় শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ ৪ সশস্ত্র ডাকাত ঢুকে সাড়ে ৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ১২ কেজি সোনা ও নগদ ১০ লক্ষ টাকা লুট করে।
সিআইডিকে তদন্তে সবরকম সাহায্য কি ভাবে করা হবে তা আলোচনা করতে পুলিশ কমিশনার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।


সিআইডি সিসিটিভি ফুটেজে ডাকাতদের মোটরবাইকে দেখা যাচ্ছে। লুটের পরে তারা ব্যাগের মধ্যে গয়না ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে তাও দেখা গেছে। আধিকারিকদের অনুমান, এই ফুটেজ থেকে ডাকাতদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাওয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য, গোল্ড লোন প্রদানকারী সংস্থার শাখায় ২০ মিনিটের মতো চারজন ডাকাত ছিলো। তারা আধিকারিক ও কর্মীদের গান পয়েন্টে রেখে ডাকাতি করে। ডাকাতরা মাস্ক পড়ে ছিলো। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্থও ছিল। তারা সবার মুখে সেলোটেপ আটকে একটি রুমে ঢুকিয়ে দেয়।


ঘটনার তদন্ত করা সিআইডির অফিসাররা কিছু বলতে চাননি। তবে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, সবকিছু খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হচ্ছে।
তবে, ৪ বছরের ব্যবধানে ( গত ১২ বছরে) আসানসোল ও দূর্গাপুরে একই গোল্ড লোন প্রদানকারী সংস্থার তিনটি শাখায় ডাকাতি ও মোটা অংকের লুটপাটের ঘটনায় অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দূর্গাপুরে এই সংস্থার শাখায় ১৪ কোটির ৩৬ কিলো সোনা ও নগদ ১১ লক্ষ টাকার ডাকাতি হয়।

২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর আসানসোলের বার্ণপুর রোডের কোর্ট মোড় সংলগ্ন সংস্থার শাখায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার ২৮ কিলো সোনা ও নগদ ৪ লক্ষ টাকা লুট করে ডাকাতরা। তারপর শনিবারের আসানসোল শহরের ঘটনা। এর মাঝে ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী আসানসোলের জিটি রোডের পুরনো রামকৃষ্ণ মিশন মোড়ে একটি জুয়েলারি দোকানে ডাকাতি হয়। ডাকাতরা ঐ দোকান থেকে ৫ কিলো সোনা ও হিরের গয়নার পাশাপাশি ৪ লক্ষ টাকা লুট করে। একমাত্র দূর্গাপুরের ছাড়া কোন ঘটনার কিনারা হয়নি। তিনটি ঘটনার তদন্ত চলছে, আর মামলা আদালতে রয়েছে।

Asansol লুটকান্ড: CID টিম তদন্তে

Asansol Muthoot Fincorp শাখায় দুঃসাহসিক ডাকাতি, ফিল্মি কায়দায় লুট ১২ কেজি সোনা ও নগদ ১০ লক্ষ টাকা

Leave a Reply