HealthWest Bengal

West Burdwan : স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে মিলছে না ঠিক মতো সুবিধা, অভিযোগ পেয়ে জেলার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে রাজ্যের বিশেষ দল

রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ২ ডিসেম্বরঃ বারবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারপরেও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম থেকে রাজ্যের ” স্বাস্থ্য সাথী ” প্রকল্পে পরিসেবা পাওয়া যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ জমা পড়েছে। বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রোগীর পরিবারের কাছে থাকলেও, তার সুবিধা অনেক ক্ষেত্রে মিলছে না।

swasthya sathi logo


পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল, রানিগঞ্জ ও দূর্গাপুরে সবমিলিয়ে এমন ১৫ টি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম আছে, যাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা দিতে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছে। এইসব অভিযোগ জমা পড়তেই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর নড়েচড়ে বসেছে।
জানা গেছে, এইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ দল বুধবার পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আসে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুসের আলোচনা করার পরে, সেই দল গত দুদিন ধরে আসানসোল, রানিগঞ্জ ও দূর্গাপুরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম পরিদর্শনে যান। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তার তথ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ দল ঐসব হাসপাতাল ও নার্সিংহোম থেকে সংগ্রহ করেছেন।


মুলতঃ, যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে, স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড থাকা সত্বেও, রোগীকে চিকিৎসা করা তো দূরের কথা, তাকে নানা বাহানা দিয়ে ভর্তি না করে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। উপায় না দেখে রোগীর পরিবার যখন বলছে, তারা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা নেবেন না, তখন ঐ রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে।


আবার কোন ক্ষেত্রে কোন নার্সিংহোম বা হাসপাতাল রোগী ভর্তি করছে। কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা দিতে গেলে, নার্সিংহোম বা হাসপাতাল কতৃপক্ষ জোর করে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকার বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর শর্ত দিচ্ছে বলে অভিযোগ। বিকল্প কোন কিছু না থাকায় রোগীর পরিবার তা মেনে নিচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়ে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। বলতে গেলে তাদের রোষ গিয়ে পড়ছে রাজ্য সরকারের উপরে গিয়ে।


বলা বাহুল্য, স্বাস্থ্য দপ্তর বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা নিয়ে হুঁশিয়ারির পরে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের মালিক বলেছিলেন, বিভিন্ন চিকিৎসার প্যাকেজে যে পরিমান টাকা ধরা হয়েছে, তা ঠিক নয়। পুরো পরিকাঠামো নিয়ে রোগীর চিকিৎসা করা হলে, প্যাকেজ মোটেই সঠিক নয়।
এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের দল জেলায় এসেছিলেন। আমাকে তারা একটি রিপোর্ট দেবেন। সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট মতো স্বাস্থ্য দপ্তর যা পদক্ষেপ নিতে বলবে, তেমন করা হবে।

Leave a Reply